01 October, 2009

হাসির রাজা গোপাল ভাঁড়

একদিন রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের সাথে গোপালের কোনো বিষয় নিয়ে তুমুল বিতন্ডা লেগে গিয়েছে। তর্কা-তর্কির এক পর্যায়ে রাজা রেগে কাঁই হয়ে গোপালকে বলেন, ‘গোপাল তোমার বাড় ইদানিং বড্ড বেড়েছে। মুখে মুখে যে তর্ক করছো, আমার সাথে তোমার দূরত্ব কত জানো?’ গোপাল চটপট উঠে দাঁড়িয়ে সিংহাসণ থেকে নিজের আসনের দূরত্ব মেপে নিয়ে বলে, ‘বেশি না রাজা মশাই। মোটে সাড়ে তিন হাত!’

একদিন এক প্রতিবেশী গোপাল ভাঁড়ের কাছে এসে :
'আমাকে একটা চিঠি লিখে দাও।'
'আমি চিঠি লিখতে পারবো না, আমার পায়ে ব্যথা।'
প্রতিবেশী আশ্চর্য হয়ে বললো, 'চিঠি তো লিখবে হাত দিয়ে, পায়ে ব্যথা তাতে কী হয়েছে?'
'কারণ আমি অতোদূর হেঁটে যেতে পারবো না।'
'অতোদূর হাঁটতে পারবে না মানে?'
'মানে আমার লেখা চিঠি আমি ছাড়া আর কেউ পড়তে পারবে না। আমার হাতের লেখা খুব খারাপ তো। যাকে চিঠি পাঠাবে, তাকে তো আমাকেই পড়ে দিয়ে আসতে হবে, তাই না? পায়ে ব্যথা নিয়ে যাবো কিভাবে?'
সংগ্রহিত

একাত্তরের চিঠি

ওয়াসেকা তখন ছোট্ট মেয়ে। এতই ছোট যে পড়তে পর্যন্ত পারে না। তারপরেও মেয়েকে উদ্দেশ্য করে এই চিঠি লিখেছিলেন চট্টগ্রামের রাজনীতিবিদ আতাউর রহমান খান। কারণ মনে শঙ্কা ছিল, মেয়ে বড় হওয়া পর্যন্ত দুনিয়ার আলো-হাওয়া দেখার সুযোগ নাও পেতে পারেন তিনি।

১৬ই জুলাই ১৯৭১ ইং
মামণি আমার,
তুমি যখন ইনশাল্লাহ পড়তে শিখবে, বসতে শিখবে তখনকার জন্য আজকের এই চিঠি লিখছি। তোমরা (…) নিশ্চয়ই। অনেক অভিমান জমা, আব্বু তোমাকে দেখতে কেন আসে না? মামণি, আব্বু আজ তোমার জন্মদিনে তোমাকে বুকে নিয়ে বুক জুড়াতে পারছি না, এই দুঃখ তোমার আব্বুর জীবনেও যাবে না।। কী অপরাধে তোমার আব্বু আজ তোমার কাছে আসতে পারে না, তোমাকে কোলে নিয়ে আদর করতে পারে না, তা তুমি বড় হয়ে হয়তো বুঝবে, মা। কারণ আজকের অপরাধ তখন অপরাধ বলে গণ্য হবে না। আজকে এ দেশের জনসাধারণ তোমার আব্বুর মতই অপরাধী, কারণ তারা নিজেদের অধিকার চেয়েছিল। অপরাধী দেশবরেণ্য নেতা, অপরাধী লেখক, শিল্পী, সাহিত্যিক, সাংবাদিক – এ দেশের সব বুদ্ধিজীবী কারণ তারা এ দেশকে ভালোবাসে। হানাদারদের কাছে, শোষকদের কাছে এর চেয়ে বড় অপরাধ আর কিছুই নেই। এই অপরাধের শাস্তি মৃত্যুদণ্ড। সেই দণ্ড এড়াবার জন্য লাখ লাখ লোক দেশ ত্যাগ করেছে। সেই দণ্ড এড়াবার জন্য তোমার আব্বুকে গ্রামে – গ্রামে, পাহাড়ে – জঙ্গলে ঘুরে বেড়াতে হচ্ছে। তাই আজ বুক ফেটে গেলেও আব্বু এসে তোমাকে নিয়ে আদর করতে পারছে না। মনের মণিকোঠায় তোমার সেই ছোট্ট মুখখানি সব সময় ভাসে, কল্পনায় তাকে চুমোয় চুমোয় ভরিয়ে দিই। আর তাতেই তোমার আব্বুকে সান্ত্বনা পেতে হয়।

আব্বু, নামাজ পড়ে প্রত্যেক ওয়াক্তে তোমার জন্য দোয়া করি। আল্লাহ রহমানুর রাহিমের কাছে মোনাজাত করি, তিনি যেন তোমার আম্মুকে আর তোমাকে সুস্থ রাখেন, বিপদমুক্ত রাখেন।

মামণি, তোমার আম্মু লিখেছে, তুমি নাকি এখন কথা বলো। তুমি নাকি বলো, ‘আব্বু জয় বাংলা গাইত।’ ইনশাল্লাহ সেই দিন আর বেশি দূরে নয় আব্বু আবার তোমাকে জয় বাংলা গেয়ে শোনাবে। যদি আব্বু না থাকি, তোমার আম্মা সেদিন তোমাকে জয় বাংলা গেয়ে শোনাবে। তোমার আম্মু আরো লিখেছে তুমি নাকি তোমাকে পিট্টি লাগালে আম্মুকে বের করে দেবে বলে ভয় দেখাও। তোমার আম্মু না ভীষণ বোকা। খালি তোমার আর আমার জন্য কষ্ট করে। বের করে দিলে দেখো আবার ঠিক ঠিক ফিরে আসবে। আমাদের ছেড়ে থাকতে পারবে না। তোমার আম্মু দুঃখ পেলে এখন আর কাউকে বলবে না। একা একা শুধু কাঁদবে।তুমি আদর করে আম্মুকে সান্ত্বনা দিও কেমন? তুমি আমার অনেক অনেক চুমো নিও।

ইতি
আব্বু

সংগ্রহিত

জ্বীনও কাজ শেষ করতে পারলো না।

এক ব্যক্তি মন্ত্র শিখার জন্য একদিন এক হুজুরের দরবারে হাজির। হুজুর জ্বীন কিভাবে হাজির করে আমাকে সেই মন্ত্র শিখাবেন। হুজুর বলে ক্যানো? উনি বলে আমার দরকার ভিষণ দরকার। আপনি আগে হাজির করুন। ঠিক আছে মন্ত্র দিয়ে হুজুর জ্বীন হাজির করলো এখন উনি বলে ঐ জ্বীনদের বলেন আমার বাড়ী পাকা করে দিতে। জ্বীন বাড়ী পাকা করে দিয়ে বলে কাজ দে নইলে তোরে মাইরা ফেলামু, যে ব্যক্তি জ্বীন হাজির করেছিল তার কাছে তেরে নিয়ে যাচ্ছে জ্বীন উনাকে। হুজুর তো টের পেয়ে চিন্তা করছে এখন অবস্থা খারাপ, কি করা যায়? এর মাঝে সামনে দ্যাখে একটা কুকুর দাড়িয়ে আছে তখন সাথে সাথে হজুর বলে কাজ আছে। তোমরা ঐ কুকুরটার বাকা লেজটা সোজা করো। জ্বীনের দল লেগে গেলো। লেজ সোজা করার জন্য টানে আবার যখনই ছেড়ে দেয় তখনই বাকা হয়ে যায়। জ্বীন চিন্তা করে এ কাজ তো কেয়ামতের আগের দিন ও শেষ হবে না। কি করা যায়? এবার চোঙা বানিয়ে এনে কুকুরের লেজ চোঙার মধ্যে ঢুকিয়ে দিয়ে কতক্ষন রেখে আবার ছেড়ে দিয়ে দেখে সেই আগের ন্যায়। তাই জ্বীন বলে মানুষের মাথায় এত বুদ্ধি যে এমন কাজ দিলো যা কিনা কেয়ামতের আগের দিনও শেষ করা যাবে না।

জনপ্রিয় পোস্টসমূহ