যুক্তরাষ্ট্রকে অনেকই স্বপ্নের দেশ মনে করে আর তাই প্রতি বছর লক্ষ লক্ষ মানুষ ডিভি লটারীর জন্য অনলাইনে আবেদন করে। কিন্তু দোকানে বা সাইবার ক্যাফেতে যারা ডিভি করে থাকেন তাদের বেশ কিছু সতর্কতা অবলম্বন করা উচিৎ। ঠিকঠাক মত ডিভির ছবি না হলে শুরুতেই আপনার আবেদন বাতিল হয়ে যাবে তাই ছবির ক্ষেত্রে বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। ডাইভারসিটি ভিসা (ডিভি) ২০১১-এর অধীনে এবারও ফরম পূরণ করতে হবে অনলাইনে।
সম্প্রতি ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাস এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে দূতাবাসের পক্ষ থেকে সকল প্রতারণা এড়িয়ে চলার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। দূতাবাসের পক্ষ থেকে ডিভি ২০১১ লটারিতে অংশগ্রহণে ইচ্ছুক প্রার্থীদের অন-লাইনে রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার সময় কিছু নির্দেশনা অনুসরণের পরামর্শ দেয়া হয়েছে। ডিভি ২০১১ আবেদন সংক্রান্ত নির্দেশনা ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাসের ওয়েবসাইট htp://dhaka.usembassy.gov থেকে পাওয়া যাবে।
মূল ঠিকানা: www.dvlottery.state.gov
এ্যাপলিকেশেন ফর্ম: www.dvlottery.state.gov/application.aspx
ছবি কেমন হবে (বিস্তারিত): www.dvlottery.state.gov/photo.aspx
05 November, 2009
জোকস
সৃষ্টিকর্তা মানজাতির উপর ভীষণ বিরক্ত হয়ে পৃথিবী ধ্বংস করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেন। তবে একেবারে হঠাত্ করে ধ্বংস না করে তিনি প্রথমে পৃথিবীর তিনজন প্রভাবশালী ব্যক্তির মাধ্যমে সংবাদটা পৃথিবীর মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেন। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তিনি লিবীয় নেতা মোয়াম্মার আল গাদ্দাফী, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ ডাব্লিউ বুশ এবং বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা ডঃ ফখরুদ্দীন আহমদকে নিজের কাছে তুলে নিলেন এবং বললেন, আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে পৃথিবী ধ্বংস করে দিব। তোমাদের দায়িত্ব হচ্ছে পৃথিবীতে ফিরে গিয়ে তোমাদের অনুসারীদের কাছে এই সংবাদ পৌঁছে দেওয়া। এই বলে তিনি আবার তাদেরকে পৃথিবীতে ফিরিয়ে দিলেন।
পৃথিবীতে ফিরে এসেই গাদ্দাফী আফ্রিকান ইউনিয়নের জরুরী মিটিং ডাকার ব্যবস্থা করলেন। মিটিংয়ে তিনি আফ্রিকান নেতাদের উদ্দেশ্যে বললেন, আমার কাছে দুটো সংবাদ আছে - একটা ভালো এবং আরেকটা খারাপ। ভালোটা হল, এই দুনিয়ার আসলেই একজন সৃষ্টিকর্তা আছেন। আর খারাপটা হল, সৃষ্টিকর্তার মাথা খারাপ হয়ে গেছে। তিনি আগামী সপ্তাহেই পৃথিবী ধ্বংস করে দিবেন।
বুশ জরুরী মিটিংয়ে বসলেন গর্ডন ব্রাউনের সঙ্গে। তিনি বললেন, আমার কাছে দুটো খবর আছে - একটা খারাপ এবং আরেকটা আরো খারাপ। খারাপ খবরটা হল, আগামী সপ্তাহে পৃথিবী ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। আর আরো খারাপটা হল, আমরা সবাই নরকে যাচ্ছি। কারণ সৃষ্টিকর্তা সত্যি সত্যিই আছেন।
ওদিকে প্রধান উপদেষ্টা ডঃ ফখরুদ্দীন আহমদ উপদেষ্টা পরিষদের জরুরী অধিবেশন ডাকলেন। বিশেষ বিবেচনায় সে অধিবেশনে সেনাপ্রধান জেনারেল মঈন উ আহমেদকেও আমন্ত্রণ জানানো হল। ফখরুদ্দীন আহমদ তার স্বভাবসুলভ গাম্ভীর্য পরিহার করে হাসিমুখে বললেন, আমার কাছে দুটো খবর আছে - একটা ভালো এবং আরেকটা আরো ভালো। ভালোটা হল, সৃষ্টিকর্তা আমাকে পৃথিবীর তিনজন প্রভাবশালী ব্যক্তির একজন হিসেবে বিবেচনা করেছেন। আর আরো ভালোটা হল, ২০০৮ এর নির্বাচনটা আমাদেরকে আর করতে হচ্ছে না। কারণ পৃথিবীটা নির্বাচনের আগেই ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে।
আয়কর ফাঁকি
সম্প্রতি বাংলাদেশের এক বিখ্যাত (!) রাজনৈতিক নেতা কর ফাঁকি মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছেন। তার সম্পত্তির পরিমাণ প্রায় ত্রিশ কোটি টাকা এবং প্রতি মাসে তার বৈধ-অবৈধ আয়ের গড় পরিমাণ প্রায় দুই লাখ টাকা। কিন্তু এই বিপুল আয় থাকা সত্ত্বেও তিনি কখনোই কোন কর দেননি। কাজেই গ্রেপ্তার হওয়ার পর তাকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হল। রিমান্ড শেষে তাকে আদালতে উপস্থিত করা হলে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবি তাকে অত্যন্ত বিণীতভাবে জিজ্ঞেস করলেন, জনাব , আপনি কি স্বীকার করেন যে, আপনার মাসিক আয় গড়ে দুই লক্ষ টাকা?
নেতা বিন্দুমাত্র না ঘাবড়ে উত্তর দিলেন, হ্যাঁ অবশ্যই।
আইনজীবি দেখলেন রিমান্ডে গিয়ে আসামীর বোধোদয় হয়েছে - বেশ সোজা পথেই উত্তর দিচ্ছে। কাজেই বেশি কথায় না গিয়ে তিনি সরাসরি বললেন, তাহলে আপনি নিশ্চয়ই স্বীকার করবেন যে এই বিপুল আয়ের কর দেয়া আপনার উচিত্ ছিল এবং সেটা না দিয়ে আপনি অপরাধ করেছেন এবং সে জন্য আপনার শাস্তি হওয়া উচিত?
উকিলের ধারণা ভুল প্রমাণ করে নেতা এবার বেশ দৃঢ়ভাবে উত্তর দিলেন, না। আমি তা মনে করি না।
আইনজীবি অত্যন্ত আশ্চর্য হয়ে জিজ্ঞেস করলেন, কেন? আপনি নিজেই স্বীকার করলেন আপনার আয় এত বেশি - অথচ আপনি বলতে চাইছেন সে আয়ের কর না দিয়ে আপনি কোন অপরাধ করেন নি?
আসামী এবার আগের বারের মতোই সপ্রতিভ ভাবে জবাব দিলেন, দেখুন আপনারা শুধু আমার আয়ের খোঁজই নিয়েছেন অন্য কিছুর খোঁজ নেওয়ার প্রয়োজন মনে করেন নি। আপনারা কি জানেন, আমার মা গত দশ বছর ধরে ক্যানসারে শয্যাশায়ী? তার কেমোথেরাপি চলছে গত তিন বছর ধরে এবং তার প্রতি বছরের হাসপাতালের বিল আমার বার্ষিক আয়ের কত গুণ?
আইনজীবি হঠাত্ কি বলবেন বুঝে উঠতে পারলেন না। কোনমতে আমতা আমতা করে বললেন, মানে আমরা ঠিক
কিন্তু তার কথা শেষ হওয়ার আগেই আসামী আবার শুরু করলেন, আপনারা কি জানেন আমার ভাই সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়ে এখন পঙ্গু হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে এবং প্রতিদিন তার পেছনে কত হাজার টাকা খরচ হচ্ছে?
আইনজীবি আবারও কিছু একটা বলতে যাচ্ছিলেন কিন্তু আসামী বলেই চললেন, আপনারা কি এটা জানেন যে আমার একমাত্র ছোট বোনের হাসব্যান্ড গত বছর সন্ত্রাসীদের গুলিতে মারা গেছে এবং সেই বোন তার ছোট ছোট তিন ছেলেমেয়ে পথে বসেছে?
আইনজীবি এবার বেশ পরিষ্কার গলাতেই বললেন, আসলে আমিতো এসবের কিছুই জানতাম। আমার মনে হয় আসলেই আপনার ব্যাপারে আরো খোঁজ নেওয়া উচিত্ ছিল
আসামী এবার বিচারকের দিকে তাকিয়ে দৃঢ়কন্ঠে বললেন, এখন মাননীয় বিচারক, আমি যদি আমার মা, ভাই, বোন এদের এত দুরবস্থা সত্ত্বেও তাদেরকে একটা পয়সা সাহায্য না দিয়ে থাকতে পারি, তাহলে খামোখা কর দিতে যাব কেন?
ফ্লপি ডিস্কের যত্ন নেওয়ার দশটি পদ্ধতি
ফ্লপি ডিস্ক সর্বদা পরিষ্কার রাখতে হবে। নইলে ডাটাগুলো ময়লা হয়ে যাওয়ার অর্থাত্ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা আছে। প্রতিদিন ডিস্কেটের কভার খুলে ভেতরের টেপ পরিষ্কার তুলা দিয়ে মুছে পরিষ্কার করতে হবে এবং সপ্তাহে অন্তত একদিন তা হুইল পাউডার মিশ্রিত পানি দিয়ে ভালোমতো ধুয়ে পরিষ্কার করতে হবে। এরফলে ডিস্কেটের ঘূর্ণন আরো মসৃণ হবে।
ডিস্কেটের গায়ে লেগে থাকে অতি সূক্ষ্ম মাইক্রোস্কপিক মেটাল পার্টিকেলগুলো পরিষ্কার করার জন্য এর উপর দিয়ে নিয়মিত শক্তিশালী চৌম্বক প্রবাহ চালনা করতে হবে।
সিস্টেম বাগ থেকে ডিস্কেটকে নিরাপদ রাখতে চাইলে এর উপর নিয়মিত কীটনাশক ওষুধ স্প্রে করতে হবে।
ডিস্কেটকে অত্যন্ত জরুরী প্রয়োজন ছাড়া ভাঁজ করা উচিত্ না। তবে সোয়া পাঁচ ইঞ্চি ডিস্কেটকে সাড়ে তিন ইঞ্চির ড্রাইভে প্রবেশ করাতে চাইলে ভাঁজ করা যেতে পারে।
ভুলেও কখনও ড্রাইভের ভেতরে ডিস্কেট রেখে কম্পিউটার বন্ধ করে দেওয়া যাবে না। কারণ ড্রাইভের ভেতরে অবস্থানকালে ডিস্কেটের অভ্যন্তরস্থ ডাটাগুলো লিক করতে পারে এবং এর ফলে ড্রাইভের ভেতরের যন্ত্রাংশও ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
ডিস্কেটের উপরের পিঠ যেন ভুলেও নিচের দিকে দিয়ে প্রবেশ করানো না হয়, সে ব্যাপারে সতর্ক দৃষ্টি রাখতে হবে। কারণ উল্টো করে প্রবেশ করালে মূল্যবান ডাটাগুলো সব নিচের দিকে পড়ে যেতে পারে এবং ড্রাইভের ভেতরে জ্যাম লাগিয়ে দিতে পারে।
ডিস্কেটকে ফটোকপি মেশিনে প্রবেশ করিয়ে এর ডাটা ব্যাকআপ করা সম্ভব নয়। যদি একান্তই কোন ডাটা ব্যাকআপ করার প্রয়োজন পড়ে, তাহলে ড্রাইভে একই সাথে দুটো ডিস্কেট ঢুকিয়ে দিতে হবে। এরপর যে যে ডকুমেন্ট ডিস্কেটে রাখা প্রয়োজন সেগুলো দুটো ডিস্কেটে পাঠিয়ে দিলেই হবে।
ডিস্কেট পূর্ণ হয়ে যাওয়ার পরেও যদি এতে আরো অতিরিক্ত ডাটা প্রবেশ করাতে হয়, তাহলে প্রথমে ড্রাইভ থেকে ডিস্কেটটা বের করে দুমিনিট ধরে বিরতিহীনভাবে জোরে জোরে ঝাঁকাতে হবে। এরফলে এর অভ্যন্তরের ডাটাগুলো সংকুচিত হবে এবং কিছু ফ্রি স্পেস সৃষ্টি হবে।
খালি হাতে কলম দিয়ে ডিস্কেটে কোন ডাটা রাইট করার চেষ্টা করা উচিত্ না। একইভাবে কাঁচি এবং সুপার-গ্লু দিয়ে কাট-কপি-পেস্ট করার চেষ্টাও করা উচিত্ না। কারণ ডাটাগুলো এতই ক্ষুদ্রাকৃতির যে, খালি চোখে সেগুলোকে দেখা সম্ভব না। তবে ইলেক্ট্রন মাইক্রোস্কোপ এবং সূক্ষ্ম যন্ত্রপাতি থাকলে ম্যানুয়ালি ডাটা কাট-কপি-পেস্ট করা যেতে পারে।
ডিস্কেটের ডাটা ট্রান্সফার রেট বাড়ানোর জন্য এর কভারের গায়ে আরো কিছু ছিদ্র করে দেওয়া যেতে পারে। এরফলে ড্রাইভের রীডার হেড ডাটা রীড-রাইট করার জন্য আরো বেশি সংখ্যক অ্যাকসেস পয়েন্ট পাবে। তবে এই পদ্ধতিতে ডাটা লস হওয়ার সম্ভাবনাও বেশি থাকে। তাই ড্রাইভ থেকে ডিস্কেট বের করার সাথেই সাথেই এটাকে স্কচটেপ দিয়ে ভালোভাবে পেঁচিয়ে ফেলতে হবে যেন ডাটা কোন দিক দিয়ে বেরিয়ে যেতে না পারে।
গণিতজ্ঞের চায়ের পানি গরম করা
এক গণিতজ্ঞ দিনরাত গণিত নিয়ে এতই ব্যস্ত থাকেন যে, একমাত্র গণিত ছাড়া দুনিয়ার আর কোন প্র্যাক্টিক্যাল বিষয় সম্পর্কে তার পরিষ্কার কোন ধারণা নেই। এই নিয়ে তার স্ত্রী সবসময়ই তার উপর চোটপাট করেন। কাজেই স্ত্রীর মন রক্ষা করার জন্য একদিন তিনি স্ত্রীকে আশ্বাস দিয়ে বললেন, যাও এখন থেকে আমি তোমার কাছ থেকে টুকটাক সংসারের কাজকর্ম শিখব। স্ত্রী খুবই আনন্দিত হয়ে প্রথমেই তাকে চা তৈরি করা শিখিয়ে দিলেন।
চা তৈরির নিয়মটা স্বামীর মনে আছে কি না, সেটা পরীক্ষা করার জন্য দুদিন পরে স্ত্রী স্বামীকে জিজ্ঞেস করলেন, আচ্ছা বল তো, তোমাকে যদি একটা কেতলি আর দেশলাই দেওয়া হয় আর বলা হয় ঘরে গ্যাসের স্টোভ আছে এবং কলে পানি আছে, তাহলে তুমি ঠিক কিভাবে চায়ের পানি গরম করবে?
জটিল সব গণিতের সমস্যায় বেচারা স্বামী নিয়মটা ভুলেই গিয়েছিলেন। কিন্তু অনেক ভেবে কিছুটা স্মরণ শক্তি থেকে আর বাকিটা অনুমান থেকে ভয়ে ভয়ে বললেন, প্রথমে কেতলিতে পানি নিব। তারপর দেশলাই জ্বালিয়ে গ্যাসের স্টোভটা চালাবো। তারপর কেতলিটা স্টোভের উপর বসিয়ে পানিটা গরম করলেই তো মনে হয়ে যাবে। তাই না?
হ্যাঁ, হয়েছে - স্ত্রী বললেন। আচ্ছা এবার বলতো, যদি তোমাকে একটা পানি ভর্তি কেতলি দেওয়া হয় আর একটা দেশলাই এবং গ্যাসের স্টোভ দেওয়া হয়, তাহলে কি করবে?
গণিতজ্ঞ এবার হাসিমুখে উত্তর দিলেন, এটা তো খুবই সহজ। প্রথমে কেতলি থেকে পানিটা ফেলে দিব। তাহলেই সমস্যাটা ঠিক আগের সমস্যাটার মতো হয়ে যাবে। আর সেটার সমাধান তো একটু আগেই করেছি। তাই না!
মাইক্রোসফট সাপোর্ট সেন্টার
টেক্সাস থেকে বেশ কিছু যাত্রী নিয়ে রওয়ানা হওয়া একটা ছোট ইঞ্জিনবিশিষ্ট চার্টার প্লেন সিয়াটলের কাছাকাছি এসে ঘন কুয়াশার মধ্যে পড়ে গেল। মড়ার উপর খাঁড়ার ঘায়ের মতো ঠিক এই সময় তার ইঞ্জিনটাও বিগড়ে গেল। প্লেনের পাইলট উপায়ান্তর না দেখে আশেপাশে ল্যান্ড করার উপযোগী জায়গার খোঁজ করতে লাগল। কিন্তু রেডিও সহ অন্যান্য যন্ত্রপাতিগুলোও একে একে সাড়া দিতে অস্বীকার করার ফলে প্লেনের অবস্থান জানতে না পারার কারণে সেটা খুব একটা সহজ হল না।
এভাবে ঘন্টাখানেক যাওয়ার পর পাইলট টের পেল যে, প্লেনের জ্বালানীও কমে আসছে। তাই সে প্লেনটাকে যথাসম্ভব নিচে নামিয়ে আনল এবং খালি চোখের উপর ভরসা করে ল্যান্ড করার মতো জায়গা খুঁজতে লাগল। এমন সময় কুয়াশা একটু কমে আসার কারণে সে একটু দূরেই একটা উঁচু ভবন দেখতে পেল, যার পঞ্চম তলায় এক ভদ্রলোক নিবিষ্ট মনে কম্পিউটারের সামনে বসে কাজ করে যাচ্ছিলেন। পাইলট খুবই আশান্বিত হয়ে প্লেনটাকে ঘুরিয়ে বিল্ডিংটার জানালার সামনে দিয়ে ঘুরিয়ে নিয়ে যাওয়ার সময় চিত্কার করে লোকটাকে জিজ্ঞেস করল, এই যে ভাই, বলতে পারেন আমি এখন ঠিক কোথায় আছি? উত্তরে ভদ্রলোক বললেন, আপনি এই মুহূর্তে একটা ছোট ইঞ্জিনবিশিষ্ট চার্টার প্লেনের ভেতরে আছেন।
ভদ্রলোকের এই উত্তর শুনে যাত্রীরা যারপরনাই হতাশ হলেও পাইলট আনন্দে প্রায় লাফিয়ে উঠল। সে সাথে সাথে প্লেনটাকে বিল্ডিংটা থেকে ঠিক 100 মিটার সামনে নিয়ে এরপর ঠিক 275 ডিগ্রী ঘুরিয়ে নিল। তারপর সোজা 5.3 কিলোমিটার গিয়ে আশেপাশে কোন কিছুর দিকে না তাকিয়ে একেবারে আক্ষরিক অর্থেই চোখ বন্ধ করে প্লেনটাকে নিখুঁতভাবে ল্যান্ড করিয়ে ফেলল। আর ঠিক সেই মুহূর্তে প্লেনের জ্বালানী সম্পূর্ণ শেষ হয়ে গেল।
বিস্মিত যাত্রীরা প্লেন থেকে নেমেই পাইলটকে ঘিরে ধরল এবং জিজ্ঞেস করল যে সে কিভাবে এই অসম্ভবকে সম্ভব করল। পাইলট উত্তর দিল, খুবই সহজ। আমি যখন ঐ ভদ্রলোককে জিজ্ঞেস করলাম যে আমি কোথায়, তখন সে যেই উত্তরটা দিল সেটা ছিল একশ পার্সেন্ট সঠিক কিন্তু সম্পূর্ণ অপ্রয়োজনীয়। কাজেই আমি বুঝে গেলাম যে এটা হচ্ছে মাইক্রোসফট সাপোর্ট সেন্টার অফিস। আর সিয়াটল এয়ারপোর্টটা এমএস সাপোর্ট সেন্টার থেকে কতদূরে সেটা তো আমার জানা ছিলই।
পৃথিবীতে ফিরে এসেই গাদ্দাফী আফ্রিকান ইউনিয়নের জরুরী মিটিং ডাকার ব্যবস্থা করলেন। মিটিংয়ে তিনি আফ্রিকান নেতাদের উদ্দেশ্যে বললেন, আমার কাছে দুটো সংবাদ আছে - একটা ভালো এবং আরেকটা খারাপ। ভালোটা হল, এই দুনিয়ার আসলেই একজন সৃষ্টিকর্তা আছেন। আর খারাপটা হল, সৃষ্টিকর্তার মাথা খারাপ হয়ে গেছে। তিনি আগামী সপ্তাহেই পৃথিবী ধ্বংস করে দিবেন।
বুশ জরুরী মিটিংয়ে বসলেন গর্ডন ব্রাউনের সঙ্গে। তিনি বললেন, আমার কাছে দুটো খবর আছে - একটা খারাপ এবং আরেকটা আরো খারাপ। খারাপ খবরটা হল, আগামী সপ্তাহে পৃথিবী ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। আর আরো খারাপটা হল, আমরা সবাই নরকে যাচ্ছি। কারণ সৃষ্টিকর্তা সত্যি সত্যিই আছেন।
ওদিকে প্রধান উপদেষ্টা ডঃ ফখরুদ্দীন আহমদ উপদেষ্টা পরিষদের জরুরী অধিবেশন ডাকলেন। বিশেষ বিবেচনায় সে অধিবেশনে সেনাপ্রধান জেনারেল মঈন উ আহমেদকেও আমন্ত্রণ জানানো হল। ফখরুদ্দীন আহমদ তার স্বভাবসুলভ গাম্ভীর্য পরিহার করে হাসিমুখে বললেন, আমার কাছে দুটো খবর আছে - একটা ভালো এবং আরেকটা আরো ভালো। ভালোটা হল, সৃষ্টিকর্তা আমাকে পৃথিবীর তিনজন প্রভাবশালী ব্যক্তির একজন হিসেবে বিবেচনা করেছেন। আর আরো ভালোটা হল, ২০০৮ এর নির্বাচনটা আমাদেরকে আর করতে হচ্ছে না। কারণ পৃথিবীটা নির্বাচনের আগেই ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে।
আয়কর ফাঁকি
সম্প্রতি বাংলাদেশের এক বিখ্যাত (!) রাজনৈতিক নেতা কর ফাঁকি মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছেন। তার সম্পত্তির পরিমাণ প্রায় ত্রিশ কোটি টাকা এবং প্রতি মাসে তার বৈধ-অবৈধ আয়ের গড় পরিমাণ প্রায় দুই লাখ টাকা। কিন্তু এই বিপুল আয় থাকা সত্ত্বেও তিনি কখনোই কোন কর দেননি। কাজেই গ্রেপ্তার হওয়ার পর তাকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হল। রিমান্ড শেষে তাকে আদালতে উপস্থিত করা হলে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবি তাকে অত্যন্ত বিণীতভাবে জিজ্ঞেস করলেন, জনাব , আপনি কি স্বীকার করেন যে, আপনার মাসিক আয় গড়ে দুই লক্ষ টাকা?
নেতা বিন্দুমাত্র না ঘাবড়ে উত্তর দিলেন, হ্যাঁ অবশ্যই।
আইনজীবি দেখলেন রিমান্ডে গিয়ে আসামীর বোধোদয় হয়েছে - বেশ সোজা পথেই উত্তর দিচ্ছে। কাজেই বেশি কথায় না গিয়ে তিনি সরাসরি বললেন, তাহলে আপনি নিশ্চয়ই স্বীকার করবেন যে এই বিপুল আয়ের কর দেয়া আপনার উচিত্ ছিল এবং সেটা না দিয়ে আপনি অপরাধ করেছেন এবং সে জন্য আপনার শাস্তি হওয়া উচিত?
উকিলের ধারণা ভুল প্রমাণ করে নেতা এবার বেশ দৃঢ়ভাবে উত্তর দিলেন, না। আমি তা মনে করি না।
আইনজীবি অত্যন্ত আশ্চর্য হয়ে জিজ্ঞেস করলেন, কেন? আপনি নিজেই স্বীকার করলেন আপনার আয় এত বেশি - অথচ আপনি বলতে চাইছেন সে আয়ের কর না দিয়ে আপনি কোন অপরাধ করেন নি?
আসামী এবার আগের বারের মতোই সপ্রতিভ ভাবে জবাব দিলেন, দেখুন আপনারা শুধু আমার আয়ের খোঁজই নিয়েছেন অন্য কিছুর খোঁজ নেওয়ার প্রয়োজন মনে করেন নি। আপনারা কি জানেন, আমার মা গত দশ বছর ধরে ক্যানসারে শয্যাশায়ী? তার কেমোথেরাপি চলছে গত তিন বছর ধরে এবং তার প্রতি বছরের হাসপাতালের বিল আমার বার্ষিক আয়ের কত গুণ?
আইনজীবি হঠাত্ কি বলবেন বুঝে উঠতে পারলেন না। কোনমতে আমতা আমতা করে বললেন, মানে আমরা ঠিক
কিন্তু তার কথা শেষ হওয়ার আগেই আসামী আবার শুরু করলেন, আপনারা কি জানেন আমার ভাই সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়ে এখন পঙ্গু হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে এবং প্রতিদিন তার পেছনে কত হাজার টাকা খরচ হচ্ছে?
আইনজীবি আবারও কিছু একটা বলতে যাচ্ছিলেন কিন্তু আসামী বলেই চললেন, আপনারা কি এটা জানেন যে আমার একমাত্র ছোট বোনের হাসব্যান্ড গত বছর সন্ত্রাসীদের গুলিতে মারা গেছে এবং সেই বোন তার ছোট ছোট তিন ছেলেমেয়ে পথে বসেছে?
আইনজীবি এবার বেশ পরিষ্কার গলাতেই বললেন, আসলে আমিতো এসবের কিছুই জানতাম। আমার মনে হয় আসলেই আপনার ব্যাপারে আরো খোঁজ নেওয়া উচিত্ ছিল
আসামী এবার বিচারকের দিকে তাকিয়ে দৃঢ়কন্ঠে বললেন, এখন মাননীয় বিচারক, আমি যদি আমার মা, ভাই, বোন এদের এত দুরবস্থা সত্ত্বেও তাদেরকে একটা পয়সা সাহায্য না দিয়ে থাকতে পারি, তাহলে খামোখা কর দিতে যাব কেন?
ফ্লপি ডিস্কের যত্ন নেওয়ার দশটি পদ্ধতি
ফ্লপি ডিস্ক সর্বদা পরিষ্কার রাখতে হবে। নইলে ডাটাগুলো ময়লা হয়ে যাওয়ার অর্থাত্ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা আছে। প্রতিদিন ডিস্কেটের কভার খুলে ভেতরের টেপ পরিষ্কার তুলা দিয়ে মুছে পরিষ্কার করতে হবে এবং সপ্তাহে অন্তত একদিন তা হুইল পাউডার মিশ্রিত পানি দিয়ে ভালোমতো ধুয়ে পরিষ্কার করতে হবে। এরফলে ডিস্কেটের ঘূর্ণন আরো মসৃণ হবে।
ডিস্কেটের গায়ে লেগে থাকে অতি সূক্ষ্ম মাইক্রোস্কপিক মেটাল পার্টিকেলগুলো পরিষ্কার করার জন্য এর উপর দিয়ে নিয়মিত শক্তিশালী চৌম্বক প্রবাহ চালনা করতে হবে।
সিস্টেম বাগ থেকে ডিস্কেটকে নিরাপদ রাখতে চাইলে এর উপর নিয়মিত কীটনাশক ওষুধ স্প্রে করতে হবে।
ডিস্কেটকে অত্যন্ত জরুরী প্রয়োজন ছাড়া ভাঁজ করা উচিত্ না। তবে সোয়া পাঁচ ইঞ্চি ডিস্কেটকে সাড়ে তিন ইঞ্চির ড্রাইভে প্রবেশ করাতে চাইলে ভাঁজ করা যেতে পারে।
ভুলেও কখনও ড্রাইভের ভেতরে ডিস্কেট রেখে কম্পিউটার বন্ধ করে দেওয়া যাবে না। কারণ ড্রাইভের ভেতরে অবস্থানকালে ডিস্কেটের অভ্যন্তরস্থ ডাটাগুলো লিক করতে পারে এবং এর ফলে ড্রাইভের ভেতরের যন্ত্রাংশও ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
ডিস্কেটের উপরের পিঠ যেন ভুলেও নিচের দিকে দিয়ে প্রবেশ করানো না হয়, সে ব্যাপারে সতর্ক দৃষ্টি রাখতে হবে। কারণ উল্টো করে প্রবেশ করালে মূল্যবান ডাটাগুলো সব নিচের দিকে পড়ে যেতে পারে এবং ড্রাইভের ভেতরে জ্যাম লাগিয়ে দিতে পারে।
ডিস্কেটকে ফটোকপি মেশিনে প্রবেশ করিয়ে এর ডাটা ব্যাকআপ করা সম্ভব নয়। যদি একান্তই কোন ডাটা ব্যাকআপ করার প্রয়োজন পড়ে, তাহলে ড্রাইভে একই সাথে দুটো ডিস্কেট ঢুকিয়ে দিতে হবে। এরপর যে যে ডকুমেন্ট ডিস্কেটে রাখা প্রয়োজন সেগুলো দুটো ডিস্কেটে পাঠিয়ে দিলেই হবে।
ডিস্কেট পূর্ণ হয়ে যাওয়ার পরেও যদি এতে আরো অতিরিক্ত ডাটা প্রবেশ করাতে হয়, তাহলে প্রথমে ড্রাইভ থেকে ডিস্কেটটা বের করে দুমিনিট ধরে বিরতিহীনভাবে জোরে জোরে ঝাঁকাতে হবে। এরফলে এর অভ্যন্তরের ডাটাগুলো সংকুচিত হবে এবং কিছু ফ্রি স্পেস সৃষ্টি হবে।
খালি হাতে কলম দিয়ে ডিস্কেটে কোন ডাটা রাইট করার চেষ্টা করা উচিত্ না। একইভাবে কাঁচি এবং সুপার-গ্লু দিয়ে কাট-কপি-পেস্ট করার চেষ্টাও করা উচিত্ না। কারণ ডাটাগুলো এতই ক্ষুদ্রাকৃতির যে, খালি চোখে সেগুলোকে দেখা সম্ভব না। তবে ইলেক্ট্রন মাইক্রোস্কোপ এবং সূক্ষ্ম যন্ত্রপাতি থাকলে ম্যানুয়ালি ডাটা কাট-কপি-পেস্ট করা যেতে পারে।
ডিস্কেটের ডাটা ট্রান্সফার রেট বাড়ানোর জন্য এর কভারের গায়ে আরো কিছু ছিদ্র করে দেওয়া যেতে পারে। এরফলে ড্রাইভের রীডার হেড ডাটা রীড-রাইট করার জন্য আরো বেশি সংখ্যক অ্যাকসেস পয়েন্ট পাবে। তবে এই পদ্ধতিতে ডাটা লস হওয়ার সম্ভাবনাও বেশি থাকে। তাই ড্রাইভ থেকে ডিস্কেট বের করার সাথেই সাথেই এটাকে স্কচটেপ দিয়ে ভালোভাবে পেঁচিয়ে ফেলতে হবে যেন ডাটা কোন দিক দিয়ে বেরিয়ে যেতে না পারে।
গণিতজ্ঞের চায়ের পানি গরম করা
এক গণিতজ্ঞ দিনরাত গণিত নিয়ে এতই ব্যস্ত থাকেন যে, একমাত্র গণিত ছাড়া দুনিয়ার আর কোন প্র্যাক্টিক্যাল বিষয় সম্পর্কে তার পরিষ্কার কোন ধারণা নেই। এই নিয়ে তার স্ত্রী সবসময়ই তার উপর চোটপাট করেন। কাজেই স্ত্রীর মন রক্ষা করার জন্য একদিন তিনি স্ত্রীকে আশ্বাস দিয়ে বললেন, যাও এখন থেকে আমি তোমার কাছ থেকে টুকটাক সংসারের কাজকর্ম শিখব। স্ত্রী খুবই আনন্দিত হয়ে প্রথমেই তাকে চা তৈরি করা শিখিয়ে দিলেন।
চা তৈরির নিয়মটা স্বামীর মনে আছে কি না, সেটা পরীক্ষা করার জন্য দুদিন পরে স্ত্রী স্বামীকে জিজ্ঞেস করলেন, আচ্ছা বল তো, তোমাকে যদি একটা কেতলি আর দেশলাই দেওয়া হয় আর বলা হয় ঘরে গ্যাসের স্টোভ আছে এবং কলে পানি আছে, তাহলে তুমি ঠিক কিভাবে চায়ের পানি গরম করবে?
জটিল সব গণিতের সমস্যায় বেচারা স্বামী নিয়মটা ভুলেই গিয়েছিলেন। কিন্তু অনেক ভেবে কিছুটা স্মরণ শক্তি থেকে আর বাকিটা অনুমান থেকে ভয়ে ভয়ে বললেন, প্রথমে কেতলিতে পানি নিব। তারপর দেশলাই জ্বালিয়ে গ্যাসের স্টোভটা চালাবো। তারপর কেতলিটা স্টোভের উপর বসিয়ে পানিটা গরম করলেই তো মনে হয়ে যাবে। তাই না?
হ্যাঁ, হয়েছে - স্ত্রী বললেন। আচ্ছা এবার বলতো, যদি তোমাকে একটা পানি ভর্তি কেতলি দেওয়া হয় আর একটা দেশলাই এবং গ্যাসের স্টোভ দেওয়া হয়, তাহলে কি করবে?
গণিতজ্ঞ এবার হাসিমুখে উত্তর দিলেন, এটা তো খুবই সহজ। প্রথমে কেতলি থেকে পানিটা ফেলে দিব। তাহলেই সমস্যাটা ঠিক আগের সমস্যাটার মতো হয়ে যাবে। আর সেটার সমাধান তো একটু আগেই করেছি। তাই না!
মাইক্রোসফট সাপোর্ট সেন্টার
টেক্সাস থেকে বেশ কিছু যাত্রী নিয়ে রওয়ানা হওয়া একটা ছোট ইঞ্জিনবিশিষ্ট চার্টার প্লেন সিয়াটলের কাছাকাছি এসে ঘন কুয়াশার মধ্যে পড়ে গেল। মড়ার উপর খাঁড়ার ঘায়ের মতো ঠিক এই সময় তার ইঞ্জিনটাও বিগড়ে গেল। প্লেনের পাইলট উপায়ান্তর না দেখে আশেপাশে ল্যান্ড করার উপযোগী জায়গার খোঁজ করতে লাগল। কিন্তু রেডিও সহ অন্যান্য যন্ত্রপাতিগুলোও একে একে সাড়া দিতে অস্বীকার করার ফলে প্লেনের অবস্থান জানতে না পারার কারণে সেটা খুব একটা সহজ হল না।
এভাবে ঘন্টাখানেক যাওয়ার পর পাইলট টের পেল যে, প্লেনের জ্বালানীও কমে আসছে। তাই সে প্লেনটাকে যথাসম্ভব নিচে নামিয়ে আনল এবং খালি চোখের উপর ভরসা করে ল্যান্ড করার মতো জায়গা খুঁজতে লাগল। এমন সময় কুয়াশা একটু কমে আসার কারণে সে একটু দূরেই একটা উঁচু ভবন দেখতে পেল, যার পঞ্চম তলায় এক ভদ্রলোক নিবিষ্ট মনে কম্পিউটারের সামনে বসে কাজ করে যাচ্ছিলেন। পাইলট খুবই আশান্বিত হয়ে প্লেনটাকে ঘুরিয়ে বিল্ডিংটার জানালার সামনে দিয়ে ঘুরিয়ে নিয়ে যাওয়ার সময় চিত্কার করে লোকটাকে জিজ্ঞেস করল, এই যে ভাই, বলতে পারেন আমি এখন ঠিক কোথায় আছি? উত্তরে ভদ্রলোক বললেন, আপনি এই মুহূর্তে একটা ছোট ইঞ্জিনবিশিষ্ট চার্টার প্লেনের ভেতরে আছেন।
ভদ্রলোকের এই উত্তর শুনে যাত্রীরা যারপরনাই হতাশ হলেও পাইলট আনন্দে প্রায় লাফিয়ে উঠল। সে সাথে সাথে প্লেনটাকে বিল্ডিংটা থেকে ঠিক 100 মিটার সামনে নিয়ে এরপর ঠিক 275 ডিগ্রী ঘুরিয়ে নিল। তারপর সোজা 5.3 কিলোমিটার গিয়ে আশেপাশে কোন কিছুর দিকে না তাকিয়ে একেবারে আক্ষরিক অর্থেই চোখ বন্ধ করে প্লেনটাকে নিখুঁতভাবে ল্যান্ড করিয়ে ফেলল। আর ঠিক সেই মুহূর্তে প্লেনের জ্বালানী সম্পূর্ণ শেষ হয়ে গেল।
বিস্মিত যাত্রীরা প্লেন থেকে নেমেই পাইলটকে ঘিরে ধরল এবং জিজ্ঞেস করল যে সে কিভাবে এই অসম্ভবকে সম্ভব করল। পাইলট উত্তর দিল, খুবই সহজ। আমি যখন ঐ ভদ্রলোককে জিজ্ঞেস করলাম যে আমি কোথায়, তখন সে যেই উত্তরটা দিল সেটা ছিল একশ পার্সেন্ট সঠিক কিন্তু সম্পূর্ণ অপ্রয়োজনীয়। কাজেই আমি বুঝে গেলাম যে এটা হচ্ছে মাইক্রোসফট সাপোর্ট সেন্টার অফিস। আর সিয়াটল এয়ারপোর্টটা এমএস সাপোর্ট সেন্টার থেকে কতদূরে সেটা তো আমার জানা ছিলই।
Subscribe to:
Comments (Atom)
জনপ্রিয় পোস্টসমূহ
-
ভর্তির আবেদন করার পদ্ধতি ও নিয়মাবলী: ১. ভর্তিচ্ছু প্রার্থীকে প্রথমে আবেদন ফি জমা ও ...
-
সরস, সবুজ ও সুফলা আমাদের এই বাংলাদেশের একটি জেলার নাম কুড়িগ্রাম, পশ্টিম বঙ্গের কোঁচবিহার ও আসামের মানিকারচর সংলগ্ন এই আমাদের জেলা বাংলাদেশের...
-
আডল্ফ হিটলার (জার্মান ভাষায়: Adolf Hitler) (২০শে এপ্রিল, ১৮৮৯ - ৩০শে এপ্রিল, ১৯৪৫) অস্ট্রীয় বংশোদ্ভূত জার্মান রাজনীতিবিদ যিনি ন্যাশনাল সো...