25 December, 2014

what is operating system and its types

 An operating system (OS) is software that manages computer hardware and software resources and provides commonservices for computer programs. The operating system is an essential component of the system software in a computer system. Application programs usually require an operating system to function.
Examples of popular modern operating systems include AndroidBSDiOSLinuxOS XQNXMicrosoft Windows, Windows Phone, and IBM z/OS. All these examples, except Windows, Windows Phone and z/OS, share roots in UNIX.

Benefits

Responsiveness
Resource Sharing
Economy
Scalability

Single and Multithreaded Processes

Scheduling Algorithm Optimization Criteria

nMax CPU utilization
n
nMax throughput
n
nMin turnaround time
n
nMin waiting time
n
nMin response time

Scheduling Criteria

nCPU utilization – keep the CPU as busy as possible
n
nThroughput – # of processes that complete their execution per time unit
n
nTurnaround time – amount of time to execute a particular process
n
nWaiting time – amount of time a process has been waiting in the ready queue
n
nResponse time – amount of time it takes from when a request was submitted until the first response is produced, not output  (for time-sharing environment)

Dispatcher

nDispatcher module gives control of the CPU to the process selected by the short-term scheduler; this involves:
lswitching context
lswitching to user mode
ljumping to the proper location in the user program to restart that program
l
nDispatch latency – time it takes for the dispatcher to stop one process and start another running

CPU Scheduler

nSelects from among the processes in memory that are ready to execute, and allocates the CPU to one of them
n
nCPU scheduling decisions may take place when a process:
1.  Switches from running to waiting state
2.  Switches from running to ready state
3.  Switches from waiting to ready
4.Terminates
nScheduling under 1 and 4 is nonpreemptive
n
nAll other scheduling is preemptive

24 December, 2014

PSC,JSC এবং JDC এর ফলাফল প্রকাশ ৩০ ডিসেম্বর

জে এস সি-জে ডি সি এবং প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষার ফল আগামী ৩০ ডিসেম্বর প্রকাশিত হবে বলে জানিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান। ২১ ডিসেম্বর দুপুরে সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে তিনি সাংবাদিকের এ তথ্য জানান। প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী বলেন, ৩০ ডিসেম্বর সকালে প্রধানমন্ত্রীর কাছে দুই পরীক্ষার ফলাফলের সারসংক্ষেপ তুলে দেওয়া হবে। এরপর সকাল ১১টায় শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ জেএসসি (জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট) ও জেডিসি (জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট) পরীক্ষার ফল আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করবেন। প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনীর ফল ৩০ ডিসেম্বর দুপুর সাড়ে ১২টায় সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে প্রকাশ করা হবে বলেও জানান মোস্তাফিজুর রহমান। দুটি পরীক্ষায় এবার প্রায় ৫২ লাখ শিক্ষার্থী অংশ নিয়েছে। জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষায় ২০ লাখ ৯০ হাজার ৬৯২ জন শিক্ষার্থী এবং প্রাথমিক ও ইবতেদায়ী শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় ৩০ লাখ ৯৪ হাজার ২৬৫ জন অংশ নিয়েছে।  
মোবাইল এর মাধ্যমে ও আপনি ফলাফল জানতে পারেনঃ-
প্রাথমিক শিক্ষা (PSC) এর ফলাফল মোবাইল এ এস এম এস এর মাধ্যমে  পেতে ম্যাসেজ অপশোন  এ গিয়ে টাইপ করুনঃ-
DPEআপনার থানা অথবা উপজেলার কোড নাম্বার স্পেস রোল নাম্বার তারপর পাঠিয়ে দিন ১৬২২২ এই নাম্বার এ।ফিরতি এস এম এস এর মাধ্যমে আপনার ফলাফল পেয়ে জাবেন।
উদাহরন সরুপঃ-DPE 22327 435675 and send to 16222
মাদ্রাশা  বোর্ড এর জন্যঃ-
EBTআপনার থানা অথবা উপজেলার কোড নাম্বার স্পেস রোল নাম্বার তারপর পাঠিয়ে দিন ১৬২২২ এই নাম্বার এ।ফিরতি এস এম এস এর মাধ্যমে আপনার ফলাফল পেয়ে জাবেন।
উদাহরন সরুপঃ-EBT 71657 765643 and Send  To 16222
জে এস সি ও জে ডি সি এর ফলাফল মোবাইল এ এস এম এস এর মাধ্যমে  পেতে ম্যাসেজ অপশোন  এ গিয়ে টাইপ করুনঃ-
JSC স্পেস আপনার বোর্ড এর প্রথম তিনটা অক্ষর স্পেস রোল নাম্বার এর পর পাঠিয়ে দিন ১৬২২২ এই নাম্বারে ফিরতি এস এম এস এর মাধ্যমে আপনার ফলাফল পেয়ে জাবেন।
উদাহরন সরুপঃ- JSC DHA 123456 and Send to 16222
মাদ্রাশা  বোর্ড এর জন্যঃ-
JDC স্পেস মাদ্রাশা  বোর্ডএর প্রথম তিনটা অক্ষর স্পেস রোল নাম্বার এর পর পাঠিয়ে দিন ১৬২২২ এই নাম্বারে ফিরতি এস এম এস এর মাধ্যমে আপনার ফলাফল পেয়ে জাবেন
উদাহরন সরুপঃ- JDC MAD 123456 and Send to 16222
বাংলাদেশ এর সকল মোবাইল অপোরেটর থেকে এই এস এম করতে পারবেন

09 June, 2014

test

অনেক সময় লেগেছে প্রগ্রামটা সম্পন্ন করতে  । তবে প্রগ্রামটা সম্পন্ন করতে  পেরে আমি অনেক আনান্দিত ।

08 June, 2014

Microsoft Word Fundamentals - pdf Book



পকিটেকনিকে ভর্তির আবেদন করার সহজ পদ্ধতি

                                                   ভর্তির আবেদন করার পদ্ধতি ও নিয়মাবলী:
১. ভর্তিচ্ছু প্রার্থীকে প্রথমে আবেদন ফি জমা ও ভর্তি পরীক্ষার ফি বাবদ ২০০.০০ (দুইশত) টাকা টেলিটক প্রিপেইড মোবাইলের মাধ্যমে 16222 নম্বরে SMS করে জমা দিতে হবে। অতঃপর কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের ওয়েব সাইট- http://www.techedu.gov.bd এ লগ ইন করে নির্ধারিত আবেদন ফরম (Application Form) যথাযথভাবে পূরণ করতে হবে ।
২. ফি জমা দেয়ার পদ্ধতিঃ  টেলিটকের Prepaid মোবাইল ফোনের মাধ্যমে মেসেজ অপশনে গিয়ে DTE লিখে, স্পেস দিয়ে শিক্ষাবোর্ডের নামের প্রথম তিনটি অক্ষর লিখে, স্পেস দিয়ে এস এস সি (SSC) পরীক্ষার রোল নম্বর লিখে , স্পেস দিয়ে এস এস সি পাশের সাল লিখে, স্পেস দিয়ে এস এস সির রেজিষ্ট্রেশন নম্বর লিখে ১৬২২২ নম্বরে এস এম এস (SMS) করতে হবেঃ
উদাহরণঃ DTE XXXYYYYYYZZZZRRRRRR
এখানে XXX এর জায়গায় আবেদনকারীর নিজের বোর্ডের নাম লিখতে হবে, ঢাকা বোর্ডের ক্ষেত্রে (DHA), সিলেট এর ক্ষেত্রে (SYL), বরিশালের ক্ষেত্রে (BAR), চট্টগ্রাম এর ক্ষেত্রে (CHI), কুমিল্লা এর ক্ষেত্রে (COM), দিনাজপুর এর ক্ষেত্রে (DIN), যশোর এর ক্ষেত্রে (JES), রাজশাহী এর ক্ষেত্রে (RAJ), মাদ্রাসা এর ক্ষেত্রে (MAD), কারিগরী এর ক্ষেত্রে (BTE), YYYYYY এর জায়গায় আবেদনকারীর নিজের এস এস সি পরীক্ষার রোল নম্বর, ZZZZ এর জায়গায় এস এস সি পাশের সন এবং RRRRRR এর জায়গায় এস এস সি পরীক্ষার রেজিষ্ট্রেশন নম্বর লিখতে হবে।
SMS –প্রেরণকারী আবেদনের যোগ্য হলে ফিরতি SMS –এ একটি PIN , প্রার্থীর নাম, পিতার নাম এবং পরীক্ষার ফি হিসেবে ২০০/- (দুইশত) টাকা কেটে রাখার সম্মতি চেয়ে ফিরতি SMS দেওয়া হবে। প্রার্থীকে তার নাম, পিতার নাম ইত্যাদি তথ্যাদি মনোযোগের সাথে দেখে নিয়ে তথ্যাদি সঠিক থাকলে সম্মতি দিতে হবে। সম্মতি দেয়ার জন্য নিম্নোক্ত ভাবে ১৬২২২ নম্বরে SMS পাঠাতে হবে ।
উদাহরণঃ DTE YESPINYour mobile number
PIN নম্বরটি সঠিক ভাবে লেখা হলে উক্ত টেলিটকের prepaid মোবাইল থেকে পরীক্ষার ফি বাবদ ২০০/- (দুইশত) টাকা কেটে রাখা হবে এবং প্রার্থীকে একটি Money Receipt Number সহ ফিরতি SMS দেয়া হবে।
উল্লেখ্য যে Money Receipt Number টি নিজ দায়িত্বে সংরক্ষণ করতে হবে এবং Money Receipt Number টি পাওয়ার পরে অনলাইনে আবেদন ফরম পূরণ করতে হবে। Money Receipt Number ছাড়া কোনক্রমেই আবেদন ফরম পূরণ করা যাবে না।
আবেদন ফরম পূরণের ধাপঃ
কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের ওয়েব সাইট- http://www.techedu.gov.bd এর Home page হতে  Online Admission (First Shift) button এ click করে application form open করতে হবে ।
Screen এ প্রদর্শীত  application form এর চাহিদা মোতাবেক তথ্যাদি লিপিবদ্ধ/নির্বাচন, entry/selection (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে) করতে হবে ।
Application form পূরণ শেষে Submit button এ ক্লিক করে ফিরতি message এর print out নিতে হবে । উক্ত print out এ প্রদত্ত Track number ভর্তি পরীক্ষার রোল নং হিসেবে বিবেচিত হবে । কোন কারণে Track number সহ ফিরতি message print out নিতে ব্যর্থ্ হলে পুনরায় একই ভাবে application form পুরণের চেষ্টা করতে হবে।
ভর্তির ফরম পূরণের বিস্তারিত তথ্যাদি ওয়েবসাইট হতে print out নেয়া যাবে ।
৩.একজন প্রার্থী যেসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যে টেকনোলজিতে ভর্তি হতে ইচ্ছুক তাহা প্রতিষ্ঠান–টেকনোলজি ভিত্তিক পছন্দের ক্রমানুসারে নির্বাচন করতে হবে ।
উদাহরণঃ ঢাকা-সিভিল, কুমিল্লা-সিভিল, ঢাকা-ইলেকট্রিক্যাল এভাবে সর্বোচ্চ দশটি অপশন নির্বাচন করা যাবে।
৪. একজন প্রার্থী আবেদনপত্র পুরনের জন্য নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে কেবলমাত্র একবার সংশোধনের সুযোগ পাবে ।
৫. মেধা, কোটা ও আবেদনপত্রে প্রদত্ত পছন্দের ক্রমানুসারে ইনষ্টিটিউট-টেকনোলজী ভিত্তিক ছাত্র-ছাত্রী ভর্তি করা হবে।
৬.  প্রার্থী বাছাইয়ের জন্য লিখিত পরীক্ষা (MCQ পদ্ধতিতে) নেয়া হবে।
লিখিত পরীক্ষার বিষয়সমূহ ও নম্বর বন্টনঃ বাংলা-৭, ইংরেজী-৭, গণিত-১৫, বিজ্ঞান-১৫, সাধারন জ্ঞান-৬, মোট-৫০ নম্বর ।
৭.  লিখিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য প্রার্থীকে ভর্তি পরীক্ষার প্রবেশপত্রের সাথে এস এস সি/সমমানের পরীক্ষার মূল রেজিষ্ট্রেশন (ফটোকপি গ্রহণযোগ্য হবে না) কার্ড অবশ্যই সঙ্গে আনতে হবে । এস এস সির মূল রেজিষ্ট্রেশন কার্ড ছাড়া কোন প্রার্থী পরীক্ষার হলে প্রবেশ করতে পারবে না।
৮. ভর্তির জন্য নির্বাচিত ছাত্র-ছাত্রীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও ভর্তি প্রক্রিয়া সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্যাদি ০১/০৭/২০১৪ তারিখে অধিদপ্তরের website এ পাওয়া যাবে ।
৯. আবেদন ফরম button এ click করলে তিনটি অপশন প্রদর্শিত হবে New Application, Update submitted form এবং View submitted form
১০. আবেদনকারী নতুন হলে New Application button এ click করবে।
১১. টাইপ Money Receipt Number, SSC Registration Number তারপর Verify Button এ Click করতে হবে। [ যদি আবেদনকারী জিপিএ ৩.৫ অথবা এর বেশি এবং সাধারণ গনিত অথবা উচ্চতর গনিত এ জিপি ৩ এর বেশি হয় তাহলে আবেদনকারীর বিস্তারিত তথ্য নীচে প্রদর্শিত হবে।]
১২. বাধ্যতামূলক ফিল্ডগুলো (*) অবশ্যই পূরন করতে হবে ।
১৩. আবেদনকারী যদি একাধিক কোটাভূক্ত হয় তাহলে একাধিক কোটা Select করতে পারবেন।
১৪. সকল তথ্য সঠিক হওয়া সত্ত্বেও আবেদন করতে অক্ষম হলে হেল্প লাইন এর প্রর্দশিত ই-মেইলে যোগাযোগ করতে পারবেন।
১৫. আবেদনকারী সর্বোচ্চ দশটি Institute এর দশটি Department চয়েস করতে পারবেন।
১৬. আবেদনকারী একটি Institute এর মধ্যে দশটি Department অথবা একটি Institute এর কয়েকটি Department অথবা ভিন্ন Institute এর ভিন্ন Department চয়েস করতে পারবেন।
১৭. আবেদনকারী Choice 1 Radio Button এ Click করলে Institute এর নাম আসবে , Institute Select করলে এই Institute এর Department প্রদর্শিত হবে, চয়েস অনুযায়ী Department select করবেন এবং Save Choice Button এ অবশ্যই Click করবেন। Similarly Choice 2 Radio button click করে ভিন্ন চয়েস করতে পারবেন।
১৮. আবেদনকারী চয়েস শেষ হয়ে গেলে Submit Button এ Click করতে হবে । তারপর Feedback form প্রদর্শিত হবে । যদি সব কিছু ঠিক থাকে তাহলে আবেদনকারী Save Button এ Click করবেন।
১৯. আবেদনকারীকে অবশ্যই Track Number টা নোট করে রাখতে হবে, কারণ এই Track Number টা পরবর্তীতে Written Test, Admid card, Result এ ব্যাবহার করতে হবে।
২০. ফরম Submit করার পর আবেদনকারী যদি তথ্য আপডেট করতে চান, তাহলে আবেদন ফরম থেকে Update Submitted form এ click করতে হবে এবং Track Number দিয়ে আবেদনকারী শুধু মাত্র একবার তথ্য আপডেট করতে পারবেন।
২১. ভর্তি পরীক্ষার বিস্তারিত তথ্য/ প্রবেশ পত্র, "ভর্তি পরীক্ষার আসন তথ্য" Menu থেকে সংগ্রহ করতে পারবেন Track Number ব্যাবহার করে।
২২. ছবির সর্বোচ্চ সাইজ ১৫০ kb এবং সর্বোচ্চ প্রস্থ, উচ্চতা যথাক্রমে ৩০০, ৩৬০ হতে হবে।
২৩. মুক্তিযোদ্ধা সনদপত্র অবশ্যই jpg ফরমেটে হতে হবে। সনদপত্রের scan copy অবশ্যই 120kb এর মধ্যে হতে হবে।

02 June, 2014

llb

assignment on  The Aim and Object of Equity and It’s Role in the Perspective of Bangladesh doc

17 April, 2014

আনমনা


আনমনা
তাসকিয়া হাবিবা (লিপি)
যখন থাকে না হাতে কাজ
ভাবতে হয় কি করব আজ
অলস মন হয় যখন আনমনা
কে বলে আজ কি করবো আর করবো না
জানালার পাশে বসে নিজেকে মনে হয় কবি
পাশ ফিরে তাকালে চোখে পরে কত ছবি
কবিতা লিখবো বলে খুলি যখন খাতা
লিখতে গিয়ে ছিড়তে হয় অনেক গুলো পাতা
এর পর যদি পেতাম এক খানা কবিতা
ভাবতাম সব কিছু দিয়েছেন বিধাতা
                                        (সংগ্রহীত) 

11 March, 2014

কয়েকটি সতীত্বনাশের গল্প

শায়লা ইসলাম তন্বি: স্মৃতিশক্তি ভালো বলে পরিচিত সবার কাছে ছোট থেকেও কিন্তু অদ্ভুত সেই স্মৃতিগুলো কি যা অজানা অভিমানে বারবার জেগে উঠে বুকের মাঝে।তখন বয়স পাঁচ কি ছয়।ছোট্টবেলার প্রথম বান্ধবী।ওর সাথেই খেলা,বসা সব।আমাদের টিভি ছিলো না বিকেলে কখনো ওদের বাসায় যেতাম।আংকেল পুরো বাবার মত।এত্তো আদর করত! একদিন কেউ খেলতে নামলো না।ওদের বাসায় গিয়ে দেখি কম্বল মুড়ি দিয়ে খেলা দেখছে।
আংকেল আদর করে বললো।আসো মা,তুমিও খেলা দেখ।বলে পাশে বসালেন।দুই মেয়ে দুই পাশে বসে টিভি দেখছে।হঠাৎই কিছু একটা অনুভব করলাম! লোমশ কোনো একটা নোংরা কিছু চাদরের নিচ দিয়ে আমায় ছোবল মারার চেষ্টা করছে। ভ্যাবাচ্যাকা খেলাম। ইফতারির দাওয়াত দিতে গিয়ে খালি বাসাতেও একদিন আমাকে আদর করার চেষ্টা করলো।ভয়ে কেঁদে দিয়েছিলাম নরপশুটার সামনে।বাসায় দেরি হয়েছিল দেখে মা বলছিল কি হয়েছে? বললাম দরজা খুলতে দেরি করেছিল।মাকে বলা সাহস ক্ষমতা আমার ছিলো না। তার আরো কিছুদিন পর। বয়স তখন নয় কি দশ আরবী পড়তে বসলাম হুজুরের কাছে।টেবিলের নিচে আবার আবিষ্কার করলাম নোংরা লোমোশ জানোয়ারের হাত। মাকে বললাম পড়ব না এই হুজুরের কাছে। মা তো রেগে আগুন। মা বুঝতেই চাইল না যে আমি আরবী পড়তে মানা করছি না এই হুজুরের কাছে পড়তে মানা করছি। মাকে বলার মত বেহায়া হওয়ার ক্ষমতা ছিলো না আমার। তার কিছুদিন পর। আচ্ছা বলুন তো,কোথায় যাওয়ার কথা শুনলে মন বেশি নেচে উঠতো? দাদুবাড়ি বা নানুবাড়ি। নানুবাড়ির ঈদ বরাবরই আমার কাছে আনন্দময়। নানুবাড়িতে গিয়ে সবাইকে সালাম করে ঢুকলাম নানার ঘরে।সালাম করলাম।আশির্বাদ দিচ্ছিল আামার নানা! হঠাৎ আবিষ্কার করলাম। নানার হাত আমার জামার গলার ভিতরে ঢুকছে।হা হয়ে রইলাম! এটা আামর নানা তো? এখন মাঝে মাঝে নানুবাড়ি গেলে নানাকে সালাম করতে যাই না।মানুষ কত কথাই বলবে! নানা প্রায়ই ফোন দিলে বলে,”কত ভুলই করেছি,মাফ করে দিও” হাহাহহাহাহাহাহা!! এর পর বড় হওয়ার পালা।ছোটবেলা থেকেই যার বলৎকার শুরু হয়েছে রাস্তাঘাটে কি কম হতে হয়? মানুষের তীব্র রসালো কথার ঝাঝে চোখে পানি আসে।ভাবি,আমি কি সতী?কাকে বলব একথাগুলো?মাকে সেদিন এক আন্টি বলল,আপনার মেয়ে রাস্তায় যায়,কত আজেবাজে কথা বলে ছেলেরা! মা বকলেন! আমাকে!! কেন?????? আমি কি করেছি???? আমি তো ঢোলাঢালা বড় জামা পরি,মাথায় ওড়না দিয়ে নিচু করে হেটে যাই।প্রতিবাদ করলে বলবে আমি খারাপ!প্রতীবাদ করলে কথায় কথা বাড়বে! আমি কি করব? আমি জানি।আমার যে প্রেমিক হবে,তাকে আগের কথাগুলো বললে বলবে এসব পুরোনো কথা আমি এসব কেয়ার করি না।বর্তমানের তুমিই আামার সব।কদিন পর ফেলে চলে যাবে! আমি জানি! বন্ধুদের সামনে রসিয়ে আলাপ করবে আমাকে নিয়ে।আমার সাথে যাচ্ছে তাই নোংরা রসিকতা করতে একটুও বাধবে না!কারণ আমি অসতী

20 February, 2014

২১ ফেব্রুয়ারী

সেপ্টেম্বর ১৯৪৭ : তমদ্দুন মজলিশ পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা কি হবে? বাংলা নাকি উর্দু? " নামে একটি পুস্তিকা প্রকাশ করে যেখানে সর্বপ্রথম বাংলাকে পাকিস্তানের একটি রাষ্ট্রভাষা হিসাবে ঘোষণা করার দাবী করা হয় । 
নভেম্বর ১৯৪৭ : পাকিস্তানের তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী ফজলুর রহমানের উদ্যোগে পশ্চিম পাকিস্তানে আয়োজিত "পাকিস্তান এডুকেশনাল কনফারেন্সে" পূর্ব - পাকিস্তান হতে আগত প্রতিনিধিরা উর্দুকে একমাত্র রাষ্ট্রীয় ভাষা হিসাবে প্রতিষ্ঠার বিরোধিতা করেন এবং বাংলাকেও সম-অধিকার প্রদানের দাবী জানান ।
১৭ নভেম্বর ১৯৪৭: পূর্ব পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা হিসাবে বাংলাকে ঘোষণা দেওয়ার জন্য শত শত নাগরিকের স্বাক্ষর সম্বলিত স্মারকপত্র প্রধানমন্ত্রী খাজা নাজিমউদ্দিনের কাছে পেশ। 
ডিসেম্বর ১৯৪৭: শিক্ষামন্ত্রী ফজলুর রহমানের উদ্যোগের বিপক্ষে ঢাকায় তমদ্দুন মজলিশের নেতৃত্বে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাবেশ এবং মিছিল হয়। ৮ ডিসেম্বর একটি সমাবেশ হতে বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা বাংলা করার দাবী উত্থাপিত হয় । 
জানুয়ারি ১৯৪৮ : পূর্ব পাকিস্তান স্টুডেন্টস লিগের জন্ম । এর প্রথম সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন তখন কলকাতা ইসলামিয়া কলেজ ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক শেখ মুজিবুর রহমান পূর্ব পাকিস্তান ষ্টুডেন্টস লীগে ডান ও বামধারার ছাত্রনেতাদের একটি সম্মিলন হয় ।
২৫ ফেব্রুয়ারী ১৯৪৮ : কুমিল্লা থেকে নির্বাচিত বাঙালি গণপরিষদ সদস্য ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত পার্লামেন্টে প্রথমবারের মত বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা হিসাবে গ্রহণ করার জন্য একটি বিল আনেন । মজলুম জননেতা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীসহ বাঙালি পার্লামেন্ট সদস্যদের একাংশ এর পক্ষে সমর্থন দিলেও মুসলিম লীগ সমর্থিত এমপিরা এর বিপক্ষে অবস্থান নেন ।
৪-৭ মার্চ ১৯৪৮ : বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা হিসাবে প্রতিষ্ঠাকে সামনে রেখে তৎকালীন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র রাজনীতির শীর্ষমুখদের সমন্বয়ে গঠিত হয় ষ্টুডেন্টস এ্যাকশন কমিটি। এই ষ্টুডেন্টস এ্যাকশন কমিটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে কেন্দ্র করে বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা হিসাবে প্রতিষ্ঠার আন্দোলনের রূপরেখা প্রণয়ন করে। ষ্টুডেন্টস এ্যাকশন কমিটির উদ্যোগে ১১ মার্চ ১৯৪৮ বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা ঘোষণার দাবিতে ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হয়।
১১ মার্চ ১৯৪৮ : এইদিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে রাষ্ট্রভাষা হিসাবে বাংলাকে প্রতিষ্ঠার দাবীতে একটি বড় সমাবেশ আয়োজন করা হয় । সমাবেশ শেষে বের হওয়া মিছিলে মুসলিম লীগ সরকারের পেটোয়া পুলিশ বাহিনী হামলা চালায় এবং মিছিল থেকে শামসুল হক, কাজী গোলাম মাহবুব, শেখ মুজিবুর রহমান, শওকত আলী, অলি আহাদ সহ বেশ কয়েকজন ছাত্র ও রাজনৈতিক নেতাকে গ্রেফতার করা হয়

১৫ মার্চ ১৯৪৮ : মুহাম্মদ আলী জিন্নাহর পূর্ব পাকিস্তান সফরের প্রাক্কালে বিস্ফোরন্মুখ পরিস্থিতি মোকাবেলায় খাজা নাজিমুদ্দিন ষ্টুডেন্টস একশন কমিটির সাথে একটি বৈঠকে বসেন এবং বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা হিসাবে প্রতিষ্ঠার একটি অঙ্গীকারনামা সই করেন। পরবর্তীতে জিন্নাহ এই অঙ্গীকারনামা বাতিল করেন এবং উর্দু (যা ছিল ৫% মানুষের মাতৃভাষা) কে পাকিস্তানের একমাত্র রাষ্ট্রভাষা করার ঘোষণা দেন। উপেক্ষিত হয় পাকিস্তানের প্রায় ৫০% মানুষের মাতৃভাষা বাংলা।
২১ মার্চ - ১৯৪৮ : রেসকোর্স ময়দানে মুহাম্মদ আলী জিন্নাহ এর পূর্ব পাকিস্তান সফর উপলক্ষে আয়োজিত একটি বিশাল সমাবেশে জিন্নাহ স্পষ্ট ঘোষণা করেন যে "উর্দুই হবে পাকিস্তানের একমাত্র রাষ্ট্র ভাষা"। সমাবেশস্থলে উপস্থিত ছাত্র নেতৃবৃন্দ ও জনতার একাংশ সাথে সাথে তার প্রতিবাদ করে ওঠে। জিন্নাহ সেই প্রতিবাদকে আমলে না নিয়ে তার বক্তব্য অব্যাহত রাখেন।

২৪ মার্চ ১৯৪৮ : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্জন হলে অনুষ্ঠিত সমাবর্তন অনুষ্ঠানে মুহাম্মদ আলী জিন্নাহ "ষ্টুডেন্টস রোল ইন নেশন বিল্ডিং" শিরোনামে একটি ভাষণ প্রদান করেন। সেখানে তিনি ক্যাটেগরিক্যালী বাংলা ভাষাকে রাষ্ট্রভাষা হিসাবে প্রতিষ্ঠার দাবীকে নাকচ করে দিয়ে বলেন "পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা হবে একটি এবং সেটি উর্দু, একমাত্র উর্দুই পাকিস্তানের মুসলিম পরিচয়কে তুলে ধরে।  জিন্নাহর এই ব্ক্তব্য সমাবর্তন স্থলে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে এবং ছাত্ররা দাঁড়িয়ে "নো নো" বলে প্রতিবাদ করেন। জিন্নাহর এই বাংলা বিরোধী স্পষ্ট অবস্থানের ফলে পূর্ব পাকিস্তানে ভাষা আন্দোলন আরো বেশী গ্রহণযোগ্যতা লাভ করে এবং আন্দোলন ঢাকার বাইরেও ছড়িয়ে পড়ে
২৬ মার্চ ১৯৪৮ : জিন্নাহ ছাত্র নেতৃবৃন্দের সাথে রাষ্ট্রভাষা বিষয়ে বৈঠক করেন এবং বৈঠকে তিনি উর্দুকে রাষ্ট্রভাষা করার ব্যাপারে তার অনড় অবস্থানের কথা জানিয়ে দেন। সেই সাথে ১৫ই মার্চ ষ্টুডেন্টস একশন কমিটির সাথে খাজা নাজিমুদ্দিনের বাংলাকে পূর্ব-পাকিস্তানের প্রাদেশিক ভাষা হিসাবে স্বীকৃতির অঙ্গীকারনামা বাতিল ঘোষণা করেন।
২৮ মার্চ ১৯৪৮ : ঢাকা ত্যাগের প্রাক্কালে এক রেডিও ভাষণে জিন্নাহ উর্দুকে পাকিস্তানের একমাত্র রাষ্ট্রভাষা করার ব্যাপারে তার মনোভাব পুনর্ব্যক্ত করেন।

৬ এপ্রিল ১৯৪৮ : জিন্নাহর ঢাকা ত্যাগের পর রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদের নেতৃত্বে বাংলা ভাষাকে রাষ্ট্রভাষা করার আন্দোলন আরো বেগবান হয়ে ওঠে। 

১১ সেপ্টেম্বর ১৯৪৮ : মুহাম্মদ আলী জিন্নাহর মৃত্যুর পর খাজা নাজিমুদ্দিন পাকিস্তানের গভর্ণর জেনারেল হিসাবে নিযুক্ত হন। এর পরপরই রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ এবং বাঙালি সংসদ সদস্যরা East Bengal Legislative Assembly (EBLA) তে গৃহীত প্রস্তাবের পূর্ণ বাস্তবায়ন এবং বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার জন্য নাজিমুদ্দিনের কাছে দাবী জানান। নাজিমুদ্দিন পূর্ব-পাকিস্তানের অধিবাসী হওয়া সত্ত্বেও তিনি পুনরায় তার অঙ্গীকার ভঙ্গ করেন এবং ক্ষমতার স্বার্থে রাষ্ট্রভাষার ক্ষেত্রে মোহাম্মদ আলী জিন্নাহর পদাঙ্ক অনুসরণ করেন।

২৭ নভেম্বর ১৯৪৮ : পাকিস্তানের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী লিয়াকত আলি খানের সফরকে কেন্দ্র করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে রাষ্ট্রভাষা আন্দোলন পুনরায় দানা বাধে। লিয়াকত আলীর আগমন উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জিমনেসিয়াম মাঠে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের একটি সমাবেশ আয়োজন করা হয় । সমাবেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের অন্যান্য দাবী দাওয়ার পাশাপাশি বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা হিসাবে ঘোষণা করা ও East Bengal Legislative Assembly (EBLA) তে গৃহীত প্রস্তাবের পূর্ণ বাস্তবায়ন করার দাবীতে একটি দাবীনামা প্রস্তত করা হয় । 
৯ মার্চ ১৯৪৯ : পূর্ব পাকিস্তানে বাংলাকে সরকারী কর্মকান্ড ও শিক্ষার একমাত্র ভাষা এবং সেই সাথে উর্দুর পাশাপাশি রাষ্ট্রভাষা ঘোষণার অব্যাহত আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে খাজা নাজিমুদ্দিনের উদ্যোগে পাকিস্তান সরকার বাংলাকে আরবি হরফে প্রচলন করার ব্যাপারে একটি প্রস্তাব দেয়। প্রস্তাবের মূল উদ্দেশ্য ছিল হিন্দুয়ানী বাংলা হরফ থেকে বাংলাকে মুক্ত করে ইসলামী ভাবাদর্শের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ আরবি হরফে বাংলা লেখা প্রচলন করা। এই লক্ষ্যে ৯ মার্চ ১৯৪৯ মৌলানা আকরাম খানকে চেয়ারম্যান করে ১৬ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করা হয়।

২৩ জুন ১৯৪৯ : পূর্ব পাকিস্তানের প্রতি পশ্চিম পাকিস্তানী শাসক গোষ্ঠীর অব্যাহত উন্নাসিক দৃষ্টিভঙ্গী, বিভিন্ন ন্যায্য দাবী দাওয়া পূরনে অস্বীকৃতি এবং ভাষার ক্ষেত্রে মুসলিম লীগ সরকারের নীতির বিরোধিতায় মজলুম জননেতা মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর নেতৃত্বে গঠিত হয় আওয়ামী মুসলিম লীগ। এর প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক ছিলেন শামসুল হক (টাঙ্গাইল), শেখ মুজিবুর রহমান  খন্দকার মোশতাক আহমেদ যুগ্ম সম্পাদক নিযুক্ত হন।[১৩][১৪][১৫] একই সময়ে পশ্চিম পাকিস্তানেও পীর মানকি শরীফ এর নেতৃত্বে আওয়ামী মুসলিম লীগ গঠিত হয়। পরবর্তীতে এই দুই দল একীভূত হয়ে পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগ গঠন করে এবং হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী এর আহবায়ক নিযুক্ত হন। ভাসানী ১৯৪৯ থেকে ১৯৫৭ পর্যন্ত ৮ বছর আওয়ামী মুসলিম লীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন এবং ভাষা আন্দোলনসহ পূর্ব পাকিস্তানের অধিকার আদায়ের সংগ্রামে নেতৃত্ব প্রদান করেন। পাকিস্তানে প্রথম বিরোধী দল হিসাবে পূর্ব পাকিস্তানী রাজনৈতিক নেতৃত্বে গড়ে ওঠা আওয়ামী মুসলিম লীগ ভাষা আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এবং রাজপথের আন্দোলন সংগঠনের পাশাপাশি পার্লামেন্টেও রাষ্ট্রভাষা ভাষার দাবীতে সোচ্চার ভূমিকা পালন করে।

১১ মার্চ ১৯৫০ : কমিউনিষ্ট ভাবধারার ছাত্র নেতা আব্দুল মতিনের নেতৃত্বে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে গঠিত হয় Dhaka University State Language Movement Committeeএই কমিটি ভাষা আন্দোলনের বিভিন্ন পর্যায়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

এপ্রিল ১৯৫০ : পার্লামেন্টে আরবি হরফে বাংলা লেখার ব্যাপারে আনুষ্ঠানিক প্রস্তাব উত্থাপন করা হয়। ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত এবং নবগঠিত আওয়ামী মুসলিম লীগের নেতারা এর তীব্র প্রতিবাদ জানান। এ সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পুনরায় রাষ্ট্রভাষা হিসাবে বাংলাকে প্রতিষ্ঠার দাবীতে আন্দোলন দানা বেধে ওঠে।

সেপ্টেম্বর ১৯৫০ : পূর্ব পাকিস্তানের অর্থনৈতিক বৈষম্য দূর এবং জনগণের মৌলিক চাহিদা পূরণের উপায় নির্ধারণের লক্ষ্যে গঠিত The Basic Principle Committee (BPC) of the National Constitutional Assembly পার্লামেন্টে রিপোর্ট প্রদান করে। এই রিপোর্টে উর্দুকে একমাত্র রাষ্ট্রভাষা করার প্রস্তাব করা হয় । বিপিসি এর এই রিপোর্ট পূর্ব পাকিস্তানে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে।

১৪ নভেম্বর ১৯৫০ : পূর্ব-পাকিস্তানের রাজনৈতিক নেতা, শিক্ষক, বুদ্ধিজীবিদের সমন্বয়ে গঠিত Committee of Action for Democratic Federation ১৪ই নভেম্বর ১৯৫০ ঢাকায় আয়োজন করে Grand National ConventionGNC থেকে বাঙালিদের মুল দাবীগুলির পাশাপাশি উর্দুর পাশাপাশি বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা হিসাবে ঘোষণা করার প্রস্তাব গৃহীত হয়। 

৭ ডিসেম্বর ১৯৫০ : মৌলানা আকরম খান এর নেতৃত্বে গঠিত ১৬ সদস্যবিশিষ্ট East Bengal Language Committee আরবি হরফে বাংলা লেখার প্রস্তাবকে বাস্তবতা বিবর্জিত এবং উদ্ভট হিসাবে আখ্যায়িত করে চূড়ান্ত রিপোর্ট প্রদান করে। এই কমিটি রিপোর্টে পূর্ব পাকিস্তানের অফিস আদালত ও শিক্ষাক্ষেত্রে সর্বতোভাবে বাংলা ব্যবহারের উপর গুরুত্বারোপ করে।

১০ ডিসেম্বর ১৯৫০ : মজলুম জননেতা ভাসানী জেল থেকে মুক্তি লাভ করেন। মুক্তির পরপরই ভাসানী বিপিসি রিপোর্ট (যাতে উর্দুকে রাষ্ট্রভাষা করার প্রস্তাব করা হয়েছিল) প্রত্যাখ্যান করেন এবং Grand National Convention এ গৃহীত প্রস্তাবগুলি অবিলম্বে মেনে নেয়ার জন্য পাকিস্তান সরকারকে আহবান জানান।

ফেব্রুয়ারী ১৯৫১ : পূর্ব পাকিস্তান যুবলীগের জন্ম। এই যুবলীগ বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা ঘোষণার পাশাপাশি পাকিস্তান সরকার কর্তৃক চাপিয়ে দেওয়া মুসলিম সংস্কৃতির পরিবর্তে পূর্ব বাংলার অধিবাসীদের নিজস্ব সংস্কৃতি যেমন পহেলা বৈশাখ, নবান্ন ইত্যাদি চর্চার ব্যাপারে উচ্চকন্ঠ ছিলো । যুবলীগ মুলত পাকিস্তানের প‌্যান-ইসলামিক মতবাদ থেকে বেরিয়ে এসে পূর্ব-বাংলার নিজস্ব সংস্কৃতির চর্চার ক্ষেত্রে একটি কন্ঠস্বর হিসাবে নিজেদের পরিচিত করে।

১১ মার্চ ১৯৫১ : The Dhaka University State Language Movement Committee পূর্ব-বাংলার সকল পত্র পত্রিকায় এবং গণ পরিষদের সদস্যদের মাঝে বাংলাকে উর্দুর পাশাপাশি রাষ্ট্রভাষা ঘোষণার দাবীতে একটি স্মারকলিপি পাঠায় ।

২৭ মার্চ ১৯৫১ : পশ্চিম পাকিস্তানী শাসক গোষ্ঠী পুনরায় গণপরিষদেতে আরবি হরফে বাংলা লেখার প্রস্তাবটি পেশ করে । এখানে উল্লেখ্য যে মৌলানা আকরম খান এর নেতৃত্বে গঠিত ১৬ সদস্যবিশিষ্ট East Bengal Language Committee আরবি হরফে বাংলা লেখার প্রস্তাবকে বাস্তবতা বিবর্জিত এবং উদ্ভট হিসাবে আখ্যায়িত করে প্রত্যাখ্যান করলেও সেই রিপোর্টকে সাধারণ জনগনের সামনে প্রকাশ করেনি পাকিস্তান সরকার । ততদিনে ক্ষমতাসীন মুসলিম লীগের এদেশীয় সদস্যদের মধ্যেও অনেকে বাংলার পক্ষে স্পষ্ট অবস্থান গ্রহণ করেছেন । এরকমই একজন হাবিবুল্লাহ বাহার এ্যাসেম্বলীতে এই প্রস্তাবের তীব্র বিরোধিতা করেন । হাবিবুল্লাহ বাহারের সাথে ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত এই প্রস্তাবকে পূর্ব-বাংলার জনগণকে শিক্ষা ক্ষেত্রে পঙ্গু করার জন্য একটি দূরভিসন্ধি হিসাবে অভিহিত করে এই প্রস্তাব বাতিল করার দাবী জানান । পূর্ব বাংলার সংসদ সদস্যদের একাংশের তীব্র বিরোধিতার মুখে প্রস্তাবটি প্রত্যাহারে বাধ্য হয় পাকিস্তান সরকার ।

জুলাই - ডিসেম্বর ১৯৫১ : এই সময়কালীন ভাষা আন্দোলনের নেতৃত্বে ছিলো আব্দুল মতিনের নেতৃত্বাধীন The Dhaka University State Language Movement Committee  ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে জুলাই, সেপ্টেম্বর, অক্টোবরে পৃথক পৃথক সমাবেশ করে বাংলাকে উর্দুর পাশাপাশি রাষ্ট্রভাষা হিসাবে প্রতিষ্ঠার দাবী জানানো হয় । এই সময়ের সমাবেশগুলিতে কাজী গোলাম মাহবুব, অলি আহাদ, গাজীউল হক প্রমুখ সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন ।

২৬ জানুয়ারি ১৯৫২ : The Basic Principles Committee of the Constituent Assembly of Pakistan পুনরায় উর্দুকেই একমাত্র রাষ্ট্রভাষা হিসাবে এ্যাসেম্বলীতে চূড়ান্ত নির্দেশনা প্রদান করে । 
২৭ জানুয়ারি ১৯৫২ : ঢাকা সফররত পাকিস্তানের তৎকালীন গভর্ণর জেনারেল খাজা নাজিমুদ্দিন পল্টন ময়দানের সমাবেশে ঘোষণা করেন কেবল মাত্র উর্দুই হবে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা । সাথে সাথে সমাবেশস্থলে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। শ্লোগান ওঠে "রাষ্ট্রভাষা বাংলা চাই" ।
২৮ জানুয়ারি ১৯৫২ : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করে । এই সমাবেশ থেকে নাজিমুদ্দিনের বক্তব্য প্রত্যাখ্যান করা ছাড়াও পূর্ব-পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী এবং মন্ত্রীপরিষদকে পশ্চিম পাকস্তানের হাতের পুতুল হিসাবে অভিহিত করা হয় ।
৩০ জানুয়ারি ১৯৫২ : খাজা নাজিমুদ্দিনের বক্তব্য ভাষা আন্দোলনকে নতুন মাত্রা দান করে । ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদের ডাকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এইদিন সর্বাত্মক ধর্মঘট পালিত হয় ।  একই দিন মাওলানা ভাসানীর সভাপতিত্বে আওয়ামী মুসলিম লীগের একটি সভা অনুষ্ঠিত হয় । সভায় ভাসানীর নেতৃত্বে ভাষা আন্দোলনে ছাত্রদের পাশাপাশি আওয়ামী মুসলিম লীগের সরাসরি এবং সক্রিয় অংশগ্রহণের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় ।
৩১শে জানুয়ারি ১৯৫২ : ভাসানীর সভপতিত্বে পূর্ব-পাকিস্তানের সকল রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক ও পেশাজীবিদের একটি সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় । এই সম্মেলন থেকে কাজী গোলাম মাহবুবকে আহবায়ক করে সর্বদলীয় রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ গঠিত হয় । সর্বদলীয় রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ ২১ ফেব্রুয়ারী সমগ্র পূর্ব-পাকিস্তানে সাধারণ ধর্মঘট আহবান করে ।
৪ ফেব্রুয়ারী ১৯৫২ : ছাত্রদের ডাকে ঢাকা শহরের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে স্বত:স্ফূর্ত ধর্মঘট পালিত হয় । ছাত্ররা বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা ঘোষণার দাবীতে তখনকার সময়ের সবচেয়ে বড় একটি মিছিল নিয়ে রাজপথ প্রদক্ষিণ করে । ১৮ ফেব্রুয়ারী ১৯৫২ : পাকিস্তান সরকার ২১ ফেব্রুয়ারী ডাকা সাধারণ ধর্মঘটের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং তৎসংলগ্ন এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করে এবং সকল সভা সমাবেশ নিষিদ্ধ ঘোষণা করে ।
২০ ফেব্রুয়ারী ১৯৫২ : পাকিস্তান সরকার কর্তৃক ১৪৪ ধারা জারির পরিপ্রেক্ষিতে সর্বদলীয় রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ এর উদ্যোগে আবুল হাশিম এর সভাপতিত্বে একটি সভা অনুষ্ঠিত হয় । সভায় উপস্থিত সদস্যগণ ১৪৪ ধারা ভংগ করার ব্যাপারে নেতিবাচক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। সভার একটি বড় অংশ ১৪৪ ধারা ভংগের ব্যাপারে মত দিলেও অনেকেই এতে সহিংসতার আশঙ্কায় বিপক্ষে মত দেন ।

২১ ফেব্রুয়ারী ১৯৫২ সকাল ৯টা : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে জিমনেশিয়াম মাঠের পাশে ঢাকা মেডিকেল কলেজের (তখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্গত) গেটের পাশে ছাত্র-ছাত্রীদের জমায়েত শুরু ।

২২ ফেব্রুয়ারী ১৯৫২ : হাজার হাজার ছাত্র জনতা সকাল থেকেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় জড়ো হতে থাকে । উপস্থিত ছাত্র-জনতা ২১ ফেব্রুয়ারী নিহতদের স্মরণে কার্জন হল এলাকায় একটি জানাজা নামাজ আদায় করে এবং একটি শোকমিছিল বের করে । শান্তিপূর্ণ মিছিলের উপর পুলিশ পুনরায় গুলি চালালে শফিউর রহমানসহ চারজন ঘটনাস্থলেই মৃত্যু বরণ করেন ।

২৩ ফেব্রুয়ারী ১৯৫২ : সমগ্র পূর্ব-পাকিস্তানে স্বত:স্ফূর্তভাবে ধর্মঘট পালিত হয় । এর আগের দিন আইন পরিষদে রাষ্ট্রভাষা সংক্রান্ত প্রস্তাব আনার পরেও নুরুল আমিনের পেটোয়া বাহিনী আন্দোলনকারীদের উপর দমন পীড়ন অব্যহত রাখে । সর্বদলীয় রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ ২৫ ফেব্রুয়ারী সমগ্র পূর্ব-পাকিস্তানে সাধারণ ধর্মঘটের ডাক দেয় ।
২৩ ফেব্রুয়ারী রাতে ছাত্র-ছাত্রীরা বরকত শহীদ হওয়ার স্থানে ভাষা আন্দোলনে শহীদদের স্মরণে একটি অস্থায়ী স্মৃতিস্তম্ভ নির্মান শুরু করে ।

২৪ ফেব্রুয়ারী ১৯৫২ : ভোর ৬টার সময় "শহীদ স্মৃতিস্তম্ভের" নির্মানকাজ সমাপ্ত হয় এবং সকাল ১০টার দিকে শহীদ শফিউর রহমানের পিতাকে দিয়ে স্মৃতিস্তম্ভটির ফলক উন্মোচন করা হয় । নুরুল আমিনের সরকার রাজপথে সর্বত্র সেনাবাহিনী এবং পুলিশ মোতায়েন করে এবং ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে পরিবেশ স্বাভাবিক করার ঘোষণা দেয় । এই ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ভাষা আন্দোলনের সাথে সংশ্লিষ্ট প্রায় সকল শীর্ষ নেতৃত্বকে গ্রেফতার করা হয় ।

২৫ ফেব্রুয়ারী ১৯৫২ : ছাত্র বিক্ষোভকে দমাতে ভাষা আন্দোলনের সূতিকাগার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয় ।





২৬ ফেব্রুয়ারী ১৯৫২ : ২৬ ফেব্রুয়ারি শহিদ মিনার পুনরায় উদ্বোধন করেন আজাদ সম্পাদক আবুল কালাম শামসুদ্দিনসেই দিন বিকেলেই সেনাবাহিনী ও পুলিশ ঢাকা মেডিকেল কলেজের সম্মুখে স্থাপিত "শহীদ স্মৃতিস্তম্ভ" গুড়িয়ে দেয় । সরকারের দমন পীড়ন নীতিতে ঢাকায় ছাত্র আন্দোলন স্তিমিত হয়ে পড়ে কিন্তু ঢাকার বাইরে আন্দোলন দানা বাধে। এবার বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা ঘোষণার পাশাপাশি বর্বর নুরুল আমিনের পদত্যাগের দাবী ওঠে ভাসানীর নেতৃত্বাধীন আওয়ামী মুসলিম লীগের কাছ থেকে ।

৮ এপ্রিল ১৯৫২ : পাকিস্তান সরকার ২১ ফেব্রুয়ারীর ঘটনাকে পাকিস্তানের মুসলিম সংস্কৃতি থেকে বিচ্যুত করার লক্ষ্যে হিন্দু এবং কমিউনিস্টদের একটি চক্রান্ত হিসাবে অভিহিত করে । একই দিন প্রকাশিত একটি রিপোর্ট ছাত্রদের উপর পুলিশের গুলিবর্ষনের ঘটনার কোন যুক্তিসংগত কারণ দেখাতে ব্যর্থ হয় ।

১৪ এপ্রিল ১৯৫২ : আইন পরিষদে পূর্ব বাংলার সদস্যরা ২১ ফেব্রুয়ারীর ঘটনার পূর্ণ তদন্ত দাবি করেন এবং ২২ ফেব্রুয়ারী গৃহীত প্রস্তাবের ভিত্তিতে বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা হিসাবে ঘোষণা করার ব্যাপারে দাবী উত্থাপন করলে আইন পরিষদে অচলাবস্থা সৃষ্টি হয় ।

১৬ এপ্রিল ১৯৫২ : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পুনরায় খুলে দেয়া হয় ।

২৮ এপ্রিল ১৯৫২ : সর্বদলীয় রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদের উদ্যোগে বার এসোসিয়েশন হলে একটি সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। সেমিনারে বক্তারা মিছিল সমাবেশের উপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার, সকল বন্দীর মুক্তি এবং বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা হিসাবে ঘোষণার দাবী জানান ।

২১ ফেব্রুয়ারী ১৯৫৩ : ১৯৫২ এর ছাত্র-জনতার আন্দোলনের এক বছর পূর্তিতে হাজার হাজার জনতা অস্থায়ীভাবে নির্মিত স্মৃতিস্তম্ভে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন করে । সরকার সকল সভা সমাবেশ, মিছিল নিষিদ্ধ করলেও ভাসানীর নেতৃত্বে আওয়ামী মুসলিম লীগের নেতা-কর্মী ও সাধারণ ছাত্র-জনতা খালি পায়ে স্মৃতিস্তম্ভের নিকট সমবেত হন । এই দিন পূর্ব পাকিস্তানের জনগন শোকের প্রতীক হিসাবে কালো ব্যাজ ধারণ করেন এবং শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে অধিকাংশ দোকানপাট বন্ধ রাখা হয় ।
৩ এপ্রিল ১৯৫৪ : মাওলানা ভাসানী, এ কে ফজলুল হক এবং হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর নেতৃত্বাধীন যুক্তফ্রন্ট পূর্ব-পাকিস্তানের প্রাদেশিক শাসনভার গ্রহণ করে । ভাষা আন্দোলনের মাধ্যমে পূর্ব-বাংলার জনগণের যে জাগরণ শুরু হয় তার ফলেই প্রথমবারের মত মুসলিম লীগ বিতারিত হয় প্রাদেশিক সরকার হতে ।

৭ মে ১৯৫৪: যুক্তফ্রন্ট সরকারের উদ্যোগে পাকিস্তান সরকার বাংলাকে একটি রাষ্ট্রভাষা হিসাবে স্বীকার করে একটি প্রস্তাব গ্রহণ করে । 

৩ ডিসেম্বর ১৯৫৫ : ভাষা আন্দোলনের ছাত্র-জনতার অন্যতম দাবী বাংলা একাডেমি আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করে ।

১৬ ফেব্রুয়ারী ১৯৫৬ : পাকিস্তানের গণপরিষদে বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা হিসাবে স্বীকৃতি প্রদান করে তা সংবিধানের অন্তর্গত করার জন্য প্রস্তাব উত্থাপিত হয় । 


২১ ফেব্রুয়ারী ১৯৫৬ : প্রাদেশিক প্রধানমন্ত্রী আবু হোসেন সরকার কর্তৃক শহীদ মিনারের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন । ১৯৬৩ সালের ২১ শে ফেব্রুয়ারী শহীদ আবুল বরকতের মা হাসিনা বেগম কর্তৃক এই শহীদ মিনারের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয় ।

২৬ ফেব্রুয়ারী ১৯৫৬ : পাকিস্তান জাতীয় সংসদে বাংলা এবং উর্দুকে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা হিসাবে স্বীকৃতি দিয়ে সংবিধান পাশ করে ।

৩ মার্চ ১৯৫৬ : বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা হিসাবে স্বীকৃতি প্রদানকারী পাকিস্তানের সংবিধান এইদিন থেকে কার্যকর হয় এবং ১৯৪৭ সালের সেপ্টেম্বরে তমদ্দুন মজলিশের মাধ্যমে মায়ের ভাষায় কথা বলার যে আন্দোলনের শুরু হয়েছিল তার সাফল্য অর্জিত হয় ।




জনপ্রিয় পোস্টসমূহ