অনার্স চতুর্থ বর্ষের ( ফাইনাল পরিক্ষা)
পরিক্ষার ফরম পুরনের বর্ধিত ফি প্রত্যাহারের দাবীতে কুড়িগ্রামে প্রগতিশীল
ছাত্র জোটের অবস্থান ধর্মঘটের উপর ছাত্রলীগ নেতা কর্মীরা হামলা চালিয়েছে।
এতে ছাত্রফ্রন্ট ও ছাত্র ইউনিয়নের ৫জন নেতা কর্মী আহত হয়। আহতদের
কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
সোমবার দুপুর ১২টায় কুড়িগ্রাম সরকারি
কলেজে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার প্রতিবাদে দুপুর দেড়টায় প্রগতিশীল ছাত্র জোট
শহরে মিছিল সমাবেশ করে। ছাত্রফ্রন্টের জলা সংগঠক আতিকুর রহমান ও জেলা ছাত্র
ইউনিয়নের নেতা নিরঞ্জন চন্দ্র রায় গুরুত্বর আহত হয়।
লিখিত অভিযোগে জানা যায়, সোমবার সকাল
১১ টায় প্রগতিশীল ছাত্র জোট কুড়িগ্রাম সরকারী মহাবিদ্যালয়ের প্রশাসনিক
ভবনের সামনে অবস্থান ধর্মঘট করে। এ সময় ছাত্রলীগের ২৫/৩০ জনের একটি দল
সেখানে উপস্থিত হয়ে তাদের সরে যেতে বলে। সরতে রাজি না হওয়ায় ছাত্রলীগ
কর্মীরা আন্দোলনকারীদের উপর হামলা চালায়। এতে আতিকুর রহমান, নিরঞ্জন চন্দ্র
রায়, মৌসুমি রহমান বুবলি, কামরুন্নাহার সরকার, রনজিত কুমার আহত হয়।
এ ঘটনার প্রতিবোদে জোটের পক্ষ থেকে শহরে
মিছিল ও কলেজ মোডে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে বক্তব্য রাখেন ছাত্র ইউনিয়ন
কুড়িগ্রাম জেলা শাখার সভাপতি মোখলেছুর রহমান, ছাত্রফন্ট্রের কলেজ শাখার
সভাপতি গৌতম কুমার।
জোটের পক্ষ থেকে গৌতম কুমার জানায়,
কুড়িগ্রাম সরকারী মহাবিদ্যালয়ে সোমবার থেকে অনার্স চতুথ বর্ষের ফরম ফিলাপ
শুরু হয়। মানবিক ও বাণিজ্য বিভাগে বিষয় সমূহের জন্য ২৮ শত ৫০ টাকা, বিজ্ঞান
বিভাগ সমূহে ৩ হাজার ৩ শত ৭৭ টাকা নির্ধারন করা হয়। যা জাতীয়
বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে বেশি। এর প্রতিবোদে
অবস্থান ধর্মঘট করলে ছাত্রলীগ হামলা চালায়।
কুড়িগ্রাম সরকারী কলেজ শাখা ছাত্রলীগের
সাধারন সম্পাদক ওয়াহেদুর রহমান বলেন, এটা একটি অনকাঙ্খিত ঘটনা। জোটের
কর্মীরা আন্দোলনের নামে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক ইলিয়াসকে লাঞ্চিত
করায় ছাত্রলীগ কর্মীরা এগিয়ে গেলে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।
কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতালের চিকিৎসক ডাঃ শাহিনুর রহমান আহতদের ভর্তির কথা স্বীকার করে বলেন তাদের প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
এ প্রসঙ্গে কুড়িগ্রাম সরকারী
মহাবিদ্যালয়ের উপাধাক্ষ্য তোফায়েল হোসেন বলেন, বর্ধিত ফি’র তথ্যটি সঠিক নয়।
গত বছরের নির্ধারিত ফি এবছরও নেয়া হয়। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মনিতি
মেনে ফি নির্ধারন করা হয়েছে।