01 September, 2009

কুড়িগ্রামের বিভিন্ন উপজেলা হাসপাতালে ৮টি এক্স-রে মেশিনের ৭টিই অচল

বিগত বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে কুড়িগ্রামের উপজেলা হাসপাতালগুলোতে সরবরাহকৃত ৮টি এক্স-রে মেশিনের মধ্যে ৭টিই দীর্ঘদিন ধরে অকেজো অবস্থায় পড়ে রয়েছে। হাসপাতালগুলোর পারিপাশ্বর্িক অবস্থা, বিদ্যুৎ ব্যবস্থা এবং মেশিনগুলো চালানোর জন্য টেকনিশিয়ানের ব্যবস্থা বিবেচনা না করে ২০০৩ থেকে ২০০৫ সালের মধ্যে লাখ-লাখ টাকার ডিজিটাল এক্স-রে মেশিন সরবরাহ করা হয়। স্বাস্থ্য দপ্তরের সেন্ট্রাল মেডিকেল স্টোর ডিপো (সিএমএসডি) থেকে মেশিনগুলো সরবরাহের পর স্থাপনের কোন ব্যবস্থা না নেয়ায় ২০০৮ সালের মাঝামাঝি পর্যন্ত বাক্সবন্দি অবস্থায় পড়েছিল। এরপর তত্ত্বাবধাযক সরকারের আমলে যৌথবাহিনীর চাপে বাক্সবন্দি ৮টি এক্স-রে মেশিন স্থাপন করা হলে ৭টি মেশিন চালু করা সম্ভব হয়নি। ফলে দরিদ্র এ জনপদের মানুষ স্বল্পমূল্যে এক্স-রে সুবিধা পাওয়া থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।

জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্র জানায়, জেলার বিভিন্ন হাসপাতালে মেশিনের মধ্যে ১০টিই দীর্ঘদিন থেকে অচল হয়ে পড়ে আছে। শুধু ২টি চালু রয়েছে। এর মধ্যে সদর হাসপাতালে সিমেন্স বাংলাদেশ ১৯৯৫ সালে এবং ১৯৯৮ সালে ২টি এক্স-রে মেশিন সরবরাহ করে। এর ১টি চালু রয়েছে এবং অন্যটি নষ্ট হওয়ায় কনডেম ঘোষণা করা হয়েছে। বক্ষব্যাধি হাসপাতালেও সিমেন্স বাংলাদেশ ১টি মেশিন ১৯৮৮ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে সরবরাহ করে। এটি প্রায় ১০ বছর ধরে অচল রয়েছে। মেরামতের জন্য সিএমএসডিতে একাধিকবার চিঠি পাঠানো হলেও কোন কাজ হয়নি। সিএমএসডি থেকে ১৯৯৫ সালে উলিপুর হাসপাতালে সরবরাহ করা ১টি মেশিনও প্রায় ৭ বছর ধরে নষ্ট হয়ে পড়ে রয়েছে। এছাড়া সিএমএসডি থেকে রৌমারী হাসপাতালে ২০০২ সালে ১টি এবং ২০০৪ সালে ১টি মোট ২টি, ২০০৫ সালে চিলমারী, রাজীবপুর ও নাগেশ্বরী হাসপাতালে ১টি করে এবং ২০০৩ সালে ফুলবাড়ী হাসপাতালে ১টি মোট ৮টি ডিজিটাল এক্স-রে মেশিন সরবরাহ করা হলেও এগুলো স্থাপন না করে দীর্ঘদিন বাক্সবন্দি অবস্থায় ফেলে রাখা হয়েছিল। এরপর ২০০৮ সালে এগুলো স্থাপন করা হলে ৭টি চালু করা যায়নি। শুধুমাত্র নাগেশ্বরী উপজেলা হাসপাতালের মেশিনটি চালু রয়েছে। চিলমারী হাসপাতালের মেশিনটি কি প্যানেল নষ্ট হওয়ায় এটি মেরামতে ২৮ হাজার টাকা চাওয়া হলেও বরাদ্দ পাওয়া যায়নি। বিদ্যুতের লো-ভোল্টেজ ও হাই ভোল্টেজ সমস্যার কারণে ফুলবাড়ীর মেশিনটি বন্ধ রাখা হয়েছে। অন্য মেশিনগুলো নানান ত্রুটির জন্য অচল রয়েছে।

এ প্রসঙ্গে কুড়িগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. তৌফিকুল ইসলাম জানান, নষ্ট এক্স-রে মেশিনগুলো মেরামতের জন্য সিএমএসডিতে চিঠি পাঠানো হয়েছে। এছাড়া এক্স-রে মেশিনগুলোর বর্তমান অবস্থা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে জানানো হয়েছে।

No comments:

Post a Comment

জনপ্রিয় পোস্টসমূহ