30 June, 2012

১৫ শ্রমিকসহ ভাসমান তেল ডিপোর বার্জ ভেসে গেছে: চলছে উদ্ধার কাজ

কুড়িগ্রামের চিলমারী বন্দর থেকে ব্রহ্মপুত্রের প্রবল পানির স্রোতে ডিপো সুপার ও ১৫ কর্মচারীসহ যমুনা ওয়েল কোম্পানির তেল ডিপোর একটি বার্জ ভেসে গেছে। শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে এ বার্জটি ভেসে যায়।
ডিপো সুপার খায়রুল কবীরের সাথে রাত সাড়ে ৯টার দিকে মোবাইল ফোনে জানা গেছে, সন্ধ্যার পরপর পানির প্রবল স্রোতে ভেসে যাওয়া বার্জটি উদ্ধারে ১৪টি শ্যালো ইঞ্জিন চালিত নৌকার মাধ্যমে উদ্ধারের চেষ্টা করা হচ্ছে। ডিপোতে প্রায় ২লাখ লিটার তেল মজুদ রয়েছে। বর্তমানে বার্জটি চিলমারী বন্দর থেকে ভাটির দিকে প্রায় ১৫ কিলোমিটর লাউচর নামক স্থানে অবস্থান করছে।

28 June, 2012

কুড়িগ্রাম বেলগাছা ইউনিয়ন পরিষদে উন্মুক্ত বাজেট ঘোষণা

কুড়িগ্রাম বেলগাছা ইউনিয়ন পরিষদে সাইত্রিশ লক্ষ আঠার হাজার টাকার উন্মুক্ত বাজেট ঘোষণা করা হয়েছে।
সনাক সভাপতি মো: শাহাবুদ্দিন এর সভাপতিত্বে বৃহস্পতিবার ইউনিয়ন পরিষদ হলরুমে ইউনিয়নবাসীর সামনে বাজেট ঘোষনা করেন ইউপি চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমান ।
কুড়িগ্রাম সচেতন নাগরিক কমিটি (সনাক) এর সহায়তায়  বেলগাছা ইউনিয়ন পরিষদ এর আয়োজনে ২০১২-২০১৩ অর্থ বছরের  বাজেট ঘোষনা করা হয়।
পরে জনগণের  বিভিন্ন প্রশ্নোত্তর পর্বে  ইউনিয়নের সেবা প্রদান রাস্তাঘাটের  উন্নয়ন, হাট বাজারের উন্নয়ন, বিভিন্ন জায়গায় পানি নিস্কাশনের জরুরী ব্যবস্থা করা, বাজেটের সঠিক বণ্টন এবং নারী উন্নয়নের জন্য বাজেটে পৃথক বরাদ্দ রাখা, তথ্য সেবা কেন্দ্র সার্বক্ষনিক চালু রাখা, শিক্ষার মান বৃদ্ধিকরণসহ নানান বিষয়ে জনগণের বিভিন্ন প্রশ্নের সমুস্খীন হন।
অনুষ্ঠানে বেলগাছা ইউনিয়নবাসী, বিভিন্ন এনজিও প্রতিনিধি, বিদ্যালয়ের শিক্ষকবৃন্দ, সাংবাদিকসহ বিভিন্ন  শ্রেণী পেশার  লোকজন  উপস্থিত ছিলেন।

25 June, 2012

নিম্নাঞ্চলের ৫০গ্রাম প্লাবিত, ৩০হাজার মানুষ পানিবন্দী

প্রবল বর্ষণ ও উজানের পানিতে কুড়িগ্রামের সবক’টি নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। ধরলা ও ব্রহ্মপুত্রে পানিতে জেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ায় পানিবন্দী হয়ে পড়েছে ৫০ গ্রামের  ৩০হাজার মানুষ। সোমবার পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, গত ২৪ঘন্টায় ধরলার পানি ১৭সেন্টিমিটার, নুনখাওয়া পয়েন্টে ব্রহ্মপুত্রের পানি ৮ সেন্টিমিটার ও চিলমারী পয়েন্টে ব্রহ্মপুত্রের পানি ১০ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার সামান্য নীচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। কুড়িগ্রামে বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে ৮৮.০২মিলিমিটার।
প্লাবিত হয়ে পড়েছে কুড়িগ্রাম সদর, উলিপুর, চিলমারী, রৌমারী ও রাজিবপুর উপজেলার নিম্নাঞ্চল ও দ্বীপচরের ৫০টি গ্রাম। পানি বন্দী হয়ে পড়েছে এসব এলাকার ৩০হাজার মানুষ। বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে কাচা সড়ক, বীজতলা, শাকসব্জি ও পাটখেত।

24 June, 2012

রাজারহাটে তিস্তানদীর ভাঙ্গনে ২০টি বাড়ী বিলীনঃ এলাকাবাসীর নদী ড্রেজিংয়ের দাবী

কুড়িগ্রামের রাজারহাটে তিস্তা নদীতে পানি কমে যাওয়ায় ২দিনে বিদ্যানন্দ ইউনিয়নের হংসধর, রামহরি, পাড়ামৌলার গ্রামের ২০টি বাড়ী নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। অসহায় ওই পরিবারগুলো ঠাঁই নিয়েছে অন্যের জায়গায়। অব্যাহত নদীভাঙ্গনের মুখে ক্রমেই পাল্টে যাচ্ছে রাজারহাট উপজেলার মানচিত্র।
তিস্তা নদীর ভাঙ্গনের তান্ডবলীলায়  ভিটেমাটি, বসতঘর ও আবাদি জমি হারিয়ে নি:স্ব হয়ে পড়েছে উপজেলার নদী তীরবর্তী তৈয়বখাঁ, পাড়ামৌলা, হংসধর, চতুরা, রামহরি, খিতাবখাঁ ও গতিয়াসাম গ্রামের শতাধিক পরিবার। ভাঙ্গন আতঙ্কে নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছে আরো প্রায় ৫ শতাধিক পরিবারের সদস্য।
গত এক সপ্তাহে তিস্তা নদীর বুকে বিলীন হয়ে গেছে ৬০ টি পরিবার। নদীর তীর রা বাঁধের বক ভেঙে নদীগর্ভে পড়তে শুরু করায় উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন উপজেলার ভাঙ্গনপ্রবণ ডাংরারহাট ও বুড়িরহাট এলাকার লোকজন। নদীর ভাঙনের মুখে বিলীন হতে বসেছে বিস্তীর্ণ জনপদ। আর ক’হাত ভাঙ্গলেই কালিরহাট রেজিঃ প্রাথমিক বিদ্যালয় ও একটি মাদরাসা ভবন নদীগর্ভে অদৃশ্য হয়ে যাবে বলে জানালেন হংসধর গ্রামের শিক্ষক সুশিল চন্দ্র রায়।
ইতিমধ্যে ওই এলাকার একটি জামে মসজিদসহ ১৫টি বাড়ী  নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে।
নদীভাঙ্গনের ভয়াবহতায় উদ্বেগ প্রকাশ করে বিদ্যানন্দ ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আবুল হাসেম ও ঘড়িয়ালডাঙ্গা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম বলেন, নদী ড্রেজিং হলে রাজারহাট উপজেলার মানচিত্রও রক্ষা পাবে। নদীর পারের মানুষ ভিজিডি, ভিজিএফসহ কোন রিলিফ চায় না, তারা নিজেদের বাঁচাতে নদী খনন চায়। সরকারকে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।
জরুরী ভিত্তিতে এসব এলাকার ভাঙ্গনরোধে ব্যবস্থা না নিলে বাস্তুহারাদের সংখ্যা দিন দিন দ্বিগুন হবে।
এ ব্যাপারে  রাজারহাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এসএম মাজহারুল ইসলাম বলেন, নদী ভাঙ্গন একটি জাতীয় সমস্যা। তাই সরকার এর দ্রুত পদপে নিবে।
এ ব্যাপারে কুড়িগ্রাম জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ আবু তাহের বলেন, রাজারহাট উপজেলার তিস্তার ভাঙ্গন ঠেকাতে পাউবো কাজ করে যাচ্ছে।
কুড়িগ্রাম- ৩ আসনের সংসদ সদস্য সাবেক মন্ত্রী মাঈদুল ইসলাম মুকুল জানান, সংসদে বিষয়টি উত্থাপিত করা হয়েছে। এছাড়া সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্তপরে সাথে যোগাযোগ করা হয়েছে, আশা করা হচ্ছে সরকার প্রতিবেশী দেশ চিনের সঙ্গে চুক্তি করে শীঘ্রই নদী ড্রেজিংয়ের কাজ শুরু করবে। তবেই রাজারহাটসহ গোটা এলাকা তিস্তা নদীর ভাঙ্গন থেকে রক্ষা করা সম্ভব হবে।

21 June, 2012

কুড়িগ্রামে চাকরি স্থায়ীকরণের দাবিতে মানববন্ধন

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি: কুড়িগ্রামে চাকরি স্থায়ীকরণের দাবিতে মানববন্ধন ও সমাবেশ করেছে ন্যাশনাল সার্ভিস’এর সুবিধাভোগি যুবক-যুবতিরা। বুধবার সকাল থেকে কুড়িগ্রাম
ন্যাশনাল সার্ভিস কর্মসূচি স্থায়ীকরণ বাস্তবায়ন সংগ্রাম পরিষদের ব্যানারে যুবক-যুবতি ও মহিলারা কুড়িগ্রাম ষ্টেডিয়াম প্রাঙ্গণে এসে জড়ো হতে থাকে। প্রখর রোদ উপেক্ষো করে মানববন্ধন ও সমাবেশ করা হয়। এবং জেলা প্রশ্রাসনের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর একটি স্বারকলিপি দেয়া হয়। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার এর মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরতœ- জননেত্রী শেখ হাসিনা’কে প্রাণঢালা অভিনন্দন জানিয়ে কর্মীরা জানান- 
আমরা বিশাল মানববন্ধনের মাধ্যমে সরকার সহ সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। শিক্ষিত জীবন নিয়ে আমাদের যেন বেকার সাজতে না হয়। এ জন্য সরকারের সুদৃষ্টি কামনা করছি।
ন্যাশনাল সার্ভিস কর্মসূচি স্থায়ীকরণ বাস্তবায়ন সংগ্রাম পরিষদ নাগেশ্বরী শাখার সাধারণ সম্পাদক আল আমিন জানান- কর্মস্থান থেকে সাময়িক ছুটি অনুমোদন সাপেক্ষে তারা প্রায় পাঁচজারকর্মী আজকের কর্মসুচিতে যোগ দিয়েছে।
উলে¬¬খ্য- প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্বাচনী অঙ্গীকার মোতাবেক উত্তরের অবহেলিত কুড়িগ্রাম জেলার শিক্ষিত বেকার যুবক-যুবতিদের জন্য সরকারের গৃহিত দুই বছরের ন্যাশনাল সার্ভিস কর্মসূচি’টি আগামি ১৪ জুলাই ইং তারিখে প্রথম ব্যাচের মেয়াদ শেষ হবে। বাকি ব্যাচগুলিও পর্যায়ক্রমে চলতি বছরেরই শেষ হওয়ার কথা।
যুব উন্নয়ন সুত্রে জানাগেছে, প্রথম পর্যায়ে আবেদনকারীদের মধ্যে থেকে প্রায় বত্রিশ হাজার যুবক-যুবতিকে ’ন্যাশনাল সার্ভিস কর্মসূচি’ র আওতায় নেয়া হয়েছে।
ন্যাশনাল সার্ভিস কর্মসূচি স্থায়ীকরণ বাস্তবায়ন সংগ্রাম পরিষদ নাগেশ্বরী শাখার আহ্বায়ক সোলজার হোসেন জানান- আমরা এখন থেকেই আন্দোলন চালিয়ে যাবো। সরকারকে আমাদের ভবিষ্যত কর্ম নিয়ে ভাবতেই হবে।
এ বাপারে কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী আবেদ জানান- সরকার ঘোষিত
এই প্রকল্পর সময়সীমা বেঁধে দেয়া হয়েছে। কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতালের ডাক্তার নজরুল ইসলাম জানান- এ হাসপাতালে নার্স সংকট লেগেই থাকতো। ন্যাশনাল সার্ভিস এ দশা থেকে কিছুটা মুক্তি দিয়েছে।

18 June, 2012

কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসকের ওপর হামলায় ১৫০ জনকে আসামি করে মামলা : গ্রেফতার ১২

কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক হাবিবুর রহমানের ওপর কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলার পাঁচপীর এলাকায় বিদ্যুতের দাবিতে বিক্ষোভকারীদের হামলার ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছে। মামলায় ১৩ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ১৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে। ঘটনার পর থেকে পাঁচপীর এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। বাজারের সব দোকানপাট ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে গেছে। গণগ্রেফতার ও পুলিশি হয়রানির ভয়ে পুরুষশূন্য হয়ে পড়েছে পাঁচপীরসহ আশপাশের এলাকা। হামলার ঘটনায় এজাহারভুক্ত ১২ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। উলিপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) নাসির উদ্দিন জানান, হামলাকারীদের গ্রেফতারে পুলিশ সাড়াশি অভিযান অব্যাহত রেখেছে।

08 June, 2012

আজ ৯জুন কাঁঠালবাড়ি গণহত্যা দিবস

আজ ৯ জুন কুড়িগ্রাম কাঠালবাড়ি গণহত্যা দিবস। ১৯৭১ সালের ৯ জুন কুড়িগ্রাম শহর থেকে ৮ কিলোমিটার দূরে কাঠালবাড়ি বাজার ও আশপাশের ৬টি গ্রামে পাক বাহিনী তাদের এ দেশীয় দালালদের সহযোগিতায় নৃশংস হামলা চালিয়ে হত্যা করেছিল ৩৫ জন নিরপরাধ বাঙালিকে। সেই সাথে লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের মাধ্যমে ধ্বংস্তুপে পরিণত করে এসব গ্রাম।
১৯৭১ সালের ৯ জুন গণহত্যার শিকার শহিদ আজিমুদ্দিনকে শুধু গুলি করে মারা হয়নি। গুলি করার পর তাকে আগুনে নিপে করা হয়েছিল। সেই যন্ত্রনা আর বিভৎসতা আজও তারা করে ফেরে স্ত্রী সুরতভানকে। বৃদ্ধ বয়সে এখন তিনি স্বামী হত্যার বিচার প্রার্থনা করেন।
শহিদ আজিমুদ্দিনের স্ত্রী সুরতভান জানান, এতো দিনও আমার স্বামীকে মারার বিচার পাই নাই। কত কষ্ট সহ্য করি মানুষের ঘরে-দুয়ারে কাজ-কাম করি ছেলে-মেয়েক মানুষ করছি। সকলের কাছে একটাই দাবি আমার স্বামীর কবরটা একটু বান্দি (পাকা) দেয়ার ব্যবস্থা করেন।
স্থানাীয় মুক্তিযোদ্ধা ও প্রত্যদর্শীরা জানান, বর্তমানে রাজনীতিতে একজন প্রতিষ্ঠিত রাজনীতিকের সহায়তায় পাকবাহিনী কাঠালবাড়ি বাজারের ৩দিক থেকে আক্রমন করে। এসময় বাজার ছাড়াও শিবরাম সন্যাসী, খামার প্রামাণিকটারি, সরদার পাড়া ও ফকির পাড়া গ্রামে অগ্নি সংযোগ করে। গুলি করে হত্যার পর আগুনে নিপে করা হয় অনেককেই।
শহিদদের পূর্নাঙ্গ তালিকা তৈরি, স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ ও শহিদদের পরিবারগুলোকে পুনর্বাসনে আজও সরকারী ভাবে কোনো উদ্যোগ নেয়া হয়নি। তবে স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা সংসদের উদ্যোগে একটি স্মৃতি স্তম্ভ নির্মাণের চেষ্টা করা হলেও তা এখনও সম্পন্ন হয়নি। বিচারের কাঠগড়ায় দাড় করানো যায়নি যুদ্ধ অপরাধিদের।
এ ব্যাপারে বীর প্রতীক আব্দুল হাই জানান, ২০০৮ সালে যুদ্ধাপরাধী বিষয়ে সদর থানায় একটি ডায়েরী করি কিন্তু এখন পর্যন্ত সে বিষয়ে কোনো কার্যকর ভূমিকা নেয়া হয়নি। কাঁঠালবাড়ির গণহত্যার দোসরদের বিচার করতেই হবে। কেননা তারা লুন্ঠন, অগ্নিসংযোগ ও গণহত্যা চালিয়েছিল। সেই সাথে শহিদ পরিবারগুলো পুনর্বাসানেরও দাবি করেন এই বীর প্রতীক।
অপরদিকে কাঁঠালবাড়ী দিশারী সাংস্কৃতিক গোষ্টি সভাপতি আব্দুল খালেক ফারুক জানান, দীর্ঘদিন পর সাংস্কৃতিক সংগঠনে দিশারীর উদ্যোগে শহিদদের একটি তালিকা তৈরির চেষ্টা চলছে। এপর্যন্ত নাম পাওয়া গেছে ২০ জনের। গণহত্যা দিবস পালনে পতাকা উত্তোলন, মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে।

নিজের বুদ্ধিমত্তায় পাচারকারীদের হাত থেকে মুক্তি পেলো রাজারহাটের কিশোরী পলি রানী

বুদ্ধিমত্তার কারনে পাচারকারীদের হাত থেকে রা পেল কিশোরী পলি রানী।সে নতুন ভাবে বাঁচতে চায়।পড়াশুনা করে মানুষ হতে চায়। ভুলে যেতে চায় পাচারকারীদের  অমানুষিক শারিরীর নির্যাতনের কথা। এই কথাগুলো বলে কেঁদে ফেললো কিশোরী পলি। শারীরিক নির্যাতনের শিকার  পলিকে বৃহস্পতিবার কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসা শেষে শুক্রবার সকালে তার আত্মীয় স্বজনের সাথে ফিরে যায় রাজারহাটের আমতলী সোনাবর গ্রামের বাড়ীতে। পুরো গ্রামে এখন আনন্দের বন্যা বইছে। কিশোরী পলিকে অপহরনের সাথে জরিত থাকার অভিযোগে পুলিশ ২জনকে গ্রেফতার করেছে ।  বাড়ি ফেরার আগে কুড়িগ্রাম প্রেসক্লাবে আসে আত্মীয়স্বজনদের সাথে। সেখানে বর্ণনা দেয় তার অপরহরণের।
কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলার সোনাবর আমতলী গ্রামের দিনমজুর ভবেন্দ্র রায়ের কন্যা পলি রানী (১৫)। ছোটবেলা থেকে দারিদ্রের সাথে সংগ্রাম করছে সে।অধিকাংশ সময় পেট পুরে খেতে পারে না পলি এবং তার পরিবার । বাবা ভবেন্দ রায় প্রায় সময় কাজের সন্ধানে ঢাকা, চট্রগ্রাম চলে যান। মা দিপালী রানী মানুষের বাড়ীতে কাজ করে। সংসারের শত কষ্ঠেও পড়াশুনা বন্ধ করেনি পলি রানী। সাকোয়া দ্বিমুখী স্কুলের ষষ্ঠ শ্রেনীর ছাত্রী সে। প্রতিবেশী সহপাঠী সাথী তার আত্মীয়দের দ্বারা তাকে বিদেশে কাজের জন্য পাঠানোর ব্যবস্থা করতে পারবে। এ নিয়ে সাথী  তাকে বিভিন্ন প্রকার প্রোলভন দেখাতো ।
সংসারের সচ্ছলতার কথা ভেবে সাথীর কথায় কাজে যেতে রাজী হয় কিশোরী পলি।আর এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে গত সোমবার স্কুলে যাবার কথা বলে সাথী পলিকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। সাথী তাকে প্রথমে টগরাইহাট এলাকায় নিয়ে যায়। সেখানে তাদের সাথে সম্পৃক্ত হয় রাজারহাট নবগ্রামের যুবক নুর ইসলাম ও শাহাদত ।
এই যুবকদ্বয় পলিকে হত্যার হুমকী দেখিয়ে রংপুর হয়ে মঙ্গলবার রাতে ঢাকায় নিয়ে যায়। ঢাকার  মিরপুরের একটি ১২তলা ভবনের একটি কে পলিকে আটকিয়ে রাখে।ঐ যুবকদ্বয় পলিকে খারাপ কাজের প্রস্তাব দেয়।কিন্তু পলি রাজী না হওয়ায় সেখানে সাথীর উপস্থিতিতে অপহরণকারীরা পলির উপর মারধর সহ শারীরিক নির্যাতন চালায়।
নির্যাতনের এক সময় ঐ কিশোরীর আতœ চিৎকারে পার্শ্ববর্তী ফাটের লোকজন এগিয়ে আসলে ঐ যুবকরা পালিয়ে যায়। অবস্থা বেগতিক দেখে সাথী বাড়িতে পৌঁছে দেয়ার নাম করে বুধবার ঢাকা থেকে আবারো গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ী বাস ষ্ট্যান্ড এলাকায় নিয়ে আসে পলিকে।
সেখানে সাথী আগে থেকে ওৎপেতে থাকা একটি চক্রের হাতে পলিকে তুলে দেয়ার চেষ্টা করলে পলি কৌশলে পালিয়ে এসে পার্শ্ববর্তী পলাশবাড়ী থানায় আশ্রয় নেয়। পরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে অপহরনকারী সাথীকে আটক করে।
বুধবার রাতেই এব্যাপারে রাজারহাট থানাকে অবহিত করলে বৃহস্পতিবার এসআই শাহজাদুল ইসলামের নেতৃত্বে ৪ সদস্যের একটি টিম অপহৃত কিশোরী ও অপহরনকারীকে রাজারহাট থানায় নিয়ে আসে। নির্যাতনের শিকার কিশোরী শারীরিক ভাবে অসুস্থ্য হওয়ায় রাজারহাটথানা পুলিশ কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।শুক্রবার সকালে তাকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেয়া হয়।
পলির মা দিপালী রানী জানান সাথীর মা জোৎস্না বেগম পাচার কারী দলের সদস্য।তার নামে অনেক মামলা আছে।আমি জোৎস্না, মজিদুল,তালেব, নুরুর শাস্তি চাই। আমরা গরীব মানুষ  আমরা এই অন্যায়ের বিচার চাই।
চাকির পাশা ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ড়েও মেম্বার বিষাদ চন্দ্র রায় জানান জোৎস্না বেগম ও তার স্বামী আলতাফ হোসেন নারী পাচারকারী দলের সদস্য।তারা এলাকায় বেশ প্রভাবশালী। গরীব পলি রানীকে বাড়ীতে নিয়ে যাবার পর রাতে আবারও কোন ঘটনা ঘটায় এই আতংক কাজ করছে।
রাজারহাট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ ছাদেকুল ইসলাম বলেন, কুড়িগ্রাম জেলার রাজারহাট উপজেলার চাকিরপশার ইউনিয়নের সোনাবর (আমতলী) গ্রামের আলতাফ আলীর স্ত্রী জোসনা বেগম (৪৫) দীর্ঘদিন ধরে মাদক ও নারী পাচারের কাজ করে আসছিল।
এরই ধারাবাহিকতায়  ৪ জুন সোমবার জোসনা বেগমের মেয়ে সাথী বেগম (১৬) এর যোগসাজসে পার্শ্ববর্তী বাড়ির পলিকে প্রলোভন দেখিয়ে অপহরন করে। পরে বিষয়টি জানতে পেরে পলি রানীর মা দিপালী রানী ওই দিন বিকেলে বাদী হয়ে রাজারহাট থানায় সাথী বেগম ,তার মা জোসনা বেগম  ও কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার ফুলমতি গ্রামের মাজেদুল ইসলাম (৩৫) কে অভিযুক্ত করে অভিযোগ দায়ের করেন।
বিষয়টি জানতে পেয়ে সু-চতুর জোসনা বেগম তড়িঘরি করে পলি রানীর স্বজন বিষ্ণুপদ রায় ও অজয় কুমার এর বিরুদ্ধে থানায় একটি পাল্টা অভিযোগ দায়ের করেন।
সোমবার রাজারহাট থানার ওসি (তদন্ত) মোঃ নুরুল ইসলাম অভিযোগ দুটি সরজমিন তদন্ত করতে গেলে এলাকার শত শত নারী-পুরুষ জোসনাকে গ্রেপ্তার পূর্বক দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবি জানিয়ে রাস্তা অবরোধ করে রাখে। নিরুপায় হয়ে থানা পুলিশ জোসনাকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে আসে।

02 June, 2012

Computer এর গতি বাড়ান

উইন্ডোজ xp অপারেটিং সিষ্টেমে My Computer এর গতি বাড়ানোর জন্য.. Start/run –এ গিয়ে regedit লিখে Enter চাপুন। এবার HKEY^CURRENT^UDER\Control Panel\Desktop –এ প্রবেশ করে বাম পাশের MenuShowDelay –তে দুইবার click করুন। এবার মাউস এর Right Button –এ click করে Modify অপশনে যান। এখন Value Data হিসেবে 100 লিখে ok করে বেরিয়ে আসুন। এর পর থেকে উইন্ডোজ xp এর My Computer অনেক দ্রুত খুলবে।

01 June, 2012

চিলমারীতে ব্রহ্মপুত্রে ভাঙ্গন\ হুমকির মুখে ডান তীর প্রতিরক্ষা প্রকল্প

কুড়িগ্রাম সংবাদদাতা : জেলার চিলমারী উপজেলায় ব্রহ্মপুত্র নদে পানি বাড়তে শুরু করেছে। সেই সঙ্গে দেখা দিয়েছে নদীভাঙ্গন। গত ১ সপ্তাহে নদী ভাঙ্গনের শিকার হয়েছে ২০টি পরিবার। নদী ভাঙ্গনের তীব্রতার কারণে হুমকির মুখে পড়েছে চিলমারী প্রতিরক্ষা প্রকল্পসহ রমনা নৌঘাট, ব্যাংকমারা ও রাজারভিটা এলাকা। সর্বশেষ গত বছরের বন্যার সময় ভাঙ্গনের হাত থেকে টিকে যাওয়া রমনা নদীঘাট, ব্যাঙ্গমারা ও রাজারভিটা এলাকার শেষাংশ বর্তমানে আবার নদীভাঙ্গনের কবলে পড়েছে। উপজেলা সদর থেকে মাত্র ২ কিলোমিটার দূরে গুড়াতিপাড়া ও ব্যাংকমারা এলাকায় নদীভাঙ্গন তীব্রতর হয়েছে। গত ১ সপ্তাহে ২০টি বাড়িসহ ভেঙ্গে নিয়েছে আবাদি জমি, বসতভিটা ও রাস্তাঘাট। গুড়াতিপাড়া এলাকার বক্কর আলী (৫০) ও আব্দুর রহিম (৪৫) জানান, তারা অনেক কষ্টে জমিতে ধান লাগিয়ে ছিল। কিন্তু শেষ মহূর্তে নদীভাঙ্গনের শিকার হয়ে ধান ঘরে তুলতে পারেনি। পাশাপাশি জমি ভেঙ্গে নিয়েছে নদী। রমনা ঘাট এলাকার মো. আহেদ আলী (৫৫) জানান, নদীতে পানি বৃদ্ধির সাথে সাথে ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। মাত্র সাত দিনে অর্ধশত বিঘা ফসলি জমি নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। উক্ত এলাকার ইউপি সদস্য নজির হোসেন বলেন, এখনই প্রতিরোধের ব্যবস্থা না নিলে হুমকির মুখে পড়বে প্রতিরক্ষা প্রকল্প। সরেজমিনে ভাঙ্গনকবলিত এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, নদের ডান তীর রক্ষা প্রকল্পের দক্ষিণ দিক দিয়ে নদী কিছুটা ভেতরের দিকে ঢুকে পড়ায় সরকারের ১১৬ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত ডান তীর রক্ষা প্রকল্পটি বর্তমানে হুমকির মুখে রয়েছে। এ ব্যাপারে কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আবু তাহের জানান, চিলমারী উপজেলাকে রক্ষায় দ্বিতীয় ফেজ কাজ করার জন্য কর্তৃপক্ষের নিকট চাহিদা প্রেরণ করা হয়েছে। অনুমোদন ও বরাদ্দ পেলেই কাজ শুরু করা হবে। এলাকাবাসীর অভিযোগ, নদীভাঙ্গনের করাল গ্রাস থেকে রক্ষার জন্য ইতোমধ্যে ব্যায় করা ১১৬ কোটি টাকার মধ্যে প্রচুর অর্থ লোপাট করা হয়েছে। এতে সঠিকভাবে কাজ না হওয়ায় আবারো নতুন করে ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। সঠিক পরিকল্পনার মাধ্যমে দুর্নীতিমুক্তভাবে নদী শাসনের কাজ করা হলে সে স্থানে আর ভাঙ্গন ধরার কথা নয় বলে অভিমত ব্যক্ত করেছেন ওই এলাকার সচেতন জনগণ। তারা আরো অভিযোগ করেছেন, বর্তমান সরকারের দলীয় ঠিকাদারদের মাধ্যমে নদীভাঙ্গন রক্ষার কাজ করায় এবং পানি উন্নয়ন বোর্ডের কতিপয় দুর্নীতিপরায়ণ কর্মকর্তা দিয়ে ওই কাজ দেখভাল করার কারণে কোন কাজ জনগণের উপকারে আসছে না। অন্যদিকে লোপাট হয়ে যাচ্ছে সরকারি অর্থ। এসব থেকে রক্ষা পেতে প্রয়োজন দলীয় প্রভাব মুক্ত ঠিকাদার নিয়োগ এবং সৎ কর্মকর্তা দিয়ে তা তদারকি করা। অন্যথায় আজীবন নদী শাসনের জন্য যত টাকা ব্যয় করা হউক না কেন তা জনগণের কোন উপকারে আসবে না।

কুড়িগ্রাম জেলা আওয়ামী লীগ নেতাদের সাথে প্রধানমন্ত্রীর মতবিনিময় সভা

ঢাকা, ১ জুন (বাসস) : আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে কুড়িগ্রাম জেলা আওয়ামী লীগ তৃণমূল নেতা-কর্মীদের এক মতবিনিময় সভা আগামীকাল দুপুর ১২টায় গণভবনে অনুষ্ঠিত হবে। আওয়ামী লীগের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আজ এ কথা জানানো হয়। সভায় আওয়ামী লীগ কার্যনির্বাহী সংসদের সকল কর্মকর্তা, সদস্য এবং কুড়িগ্রাম জেলা আওয়ামী লীগ কার্যনির্বাহী সংসদের কর্মকর্তা ও সদস্য, উপদেষ্টা পরিষদ, জাতীয় কমিটির সদস্য, দলের সংসদ সদস্যবৃন্দ, জেলা পরিষদের প্রশাসক, সকল উপজেলা, থানা, পৌর ও ইউনিয়ন শাখার সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, দল সমর্থিত উপজেলা চেয়ারম্যান, ভাইস-চেয়ারম্যান, পৌরসভার মেয়র ও কাউন্সিলর, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এবং সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের জেলা ও উপজেলা শাখার সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকরা উপস্থিত থাকবেন। দলের সাধারণ সম্পাদক এবং স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম সংশ্লিষ্ট সকলকে যথাসময়ে উক্ত সভায় উপস্থিত থাকার জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন।

জনপ্রিয় পোস্টসমূহ