01 June, 2012
চিলমারীতে ব্রহ্মপুত্রে ভাঙ্গন\ হুমকির মুখে ডান তীর প্রতিরক্ষা প্রকল্প
কুড়িগ্রাম সংবাদদাতা : জেলার চিলমারী উপজেলায় ব্রহ্মপুত্র নদে পানি বাড়তে শুরু করেছে। সেই সঙ্গে দেখা দিয়েছে নদীভাঙ্গন। গত ১ সপ্তাহে নদী ভাঙ্গনের শিকার হয়েছে ২০টি পরিবার। নদী ভাঙ্গনের তীব্রতার কারণে হুমকির মুখে পড়েছে চিলমারী প্রতিরক্ষা প্রকল্পসহ রমনা নৌঘাট, ব্যাংকমারা ও রাজারভিটা এলাকা।
সর্বশেষ গত বছরের বন্যার সময় ভাঙ্গনের হাত থেকে টিকে যাওয়া রমনা নদীঘাট, ব্যাঙ্গমারা ও রাজারভিটা এলাকার শেষাংশ বর্তমানে আবার নদীভাঙ্গনের কবলে পড়েছে। উপজেলা সদর থেকে মাত্র ২ কিলোমিটার দূরে গুড়াতিপাড়া ও ব্যাংকমারা এলাকায় নদীভাঙ্গন তীব্রতর হয়েছে। গত ১ সপ্তাহে ২০টি বাড়িসহ ভেঙ্গে নিয়েছে আবাদি জমি, বসতভিটা ও রাস্তাঘাট। গুড়াতিপাড়া এলাকার বক্কর আলী (৫০) ও আব্দুর রহিম (৪৫) জানান, তারা অনেক কষ্টে জমিতে ধান লাগিয়ে ছিল। কিন্তু শেষ মহূর্তে নদীভাঙ্গনের শিকার হয়ে ধান ঘরে তুলতে পারেনি। পাশাপাশি জমি ভেঙ্গে নিয়েছে নদী। রমনা ঘাট এলাকার মো. আহেদ আলী (৫৫) জানান, নদীতে পানি বৃদ্ধির সাথে সাথে ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। মাত্র সাত দিনে অর্ধশত বিঘা ফসলি জমি নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। উক্ত এলাকার ইউপি সদস্য নজির হোসেন বলেন, এখনই প্রতিরোধের ব্যবস্থা না নিলে হুমকির মুখে পড়বে প্রতিরক্ষা প্রকল্প। সরেজমিনে ভাঙ্গনকবলিত এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, নদের ডান তীর রক্ষা প্রকল্পের দক্ষিণ দিক দিয়ে নদী কিছুটা ভেতরের দিকে ঢুকে পড়ায় সরকারের ১১৬ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত ডান তীর রক্ষা প্রকল্পটি বর্তমানে হুমকির মুখে রয়েছে।
এ ব্যাপারে কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আবু তাহের জানান, চিলমারী উপজেলাকে রক্ষায় দ্বিতীয় ফেজ কাজ করার জন্য কর্তৃপক্ষের নিকট চাহিদা প্রেরণ করা হয়েছে। অনুমোদন ও বরাদ্দ পেলেই কাজ শুরু করা হবে।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, নদীভাঙ্গনের করাল গ্রাস থেকে রক্ষার জন্য ইতোমধ্যে ব্যায় করা ১১৬ কোটি টাকার মধ্যে প্রচুর অর্থ লোপাট করা হয়েছে। এতে সঠিকভাবে কাজ না হওয়ায় আবারো নতুন করে ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। সঠিক পরিকল্পনার মাধ্যমে দুর্নীতিমুক্তভাবে নদী শাসনের কাজ করা হলে সে স্থানে আর ভাঙ্গন ধরার কথা নয় বলে অভিমত ব্যক্ত করেছেন ওই এলাকার সচেতন জনগণ। তারা আরো অভিযোগ করেছেন, বর্তমান সরকারের দলীয় ঠিকাদারদের মাধ্যমে নদীভাঙ্গন রক্ষার কাজ করায় এবং পানি উন্নয়ন বোর্ডের কতিপয় দুর্নীতিপরায়ণ কর্মকর্তা দিয়ে ওই কাজ দেখভাল করার কারণে কোন কাজ জনগণের উপকারে আসছে না। অন্যদিকে লোপাট হয়ে যাচ্ছে সরকারি অর্থ। এসব থেকে রক্ষা পেতে প্রয়োজন দলীয় প্রভাব মুক্ত ঠিকাদার নিয়োগ এবং সৎ কর্মকর্তা দিয়ে তা তদারকি করা। অন্যথায় আজীবন নদী শাসনের জন্য যত টাকা ব্যয় করা হউক না কেন তা জনগণের কোন উপকারে আসবে না।
জনপ্রিয় পোস্টসমূহ
-
ভর্তির আবেদন করার পদ্ধতি ও নিয়মাবলী: ১. ভর্তিচ্ছু প্রার্থীকে প্রথমে আবেদন ফি জমা ও ...
-
সরস, সবুজ ও সুফলা আমাদের এই বাংলাদেশের একটি জেলার নাম কুড়িগ্রাম, পশ্টিম বঙ্গের কোঁচবিহার ও আসামের মানিকারচর সংলগ্ন এই আমাদের জেলা বাংলাদেশের...
-
আডল্ফ হিটলার (জার্মান ভাষায়: Adolf Hitler) (২০শে এপ্রিল, ১৮৮৯ - ৩০শে এপ্রিল, ১৯৪৫) অস্ট্রীয় বংশোদ্ভূত জার্মান রাজনীতিবিদ যিনি ন্যাশনাল সো...